তমলুক, 31 মার্চ : রাজ্যে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তিন কোরোনা আক্রান্তের ৷ প্রতিদিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যাও ৷ এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন ৷ এই বৈঠকেই তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি করার নির্দেশ দেন ৷
রাতেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের বৈঠকে 1000 বেডের হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ৷ তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে জেলার দু'টি বেসরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য 200টি বেডের ব্যবস্থা করে কাজ শুরু করা হল ৷ স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কোরোনা আক্রান্ত হয়ে এগরার এক মহিলা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক যুবক কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ 2 জেলাতে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন ৷ রাতেই হলদিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতাল-সহ পাঁশকুড়া ও চণ্ডীপুরের দু'টি বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ৷ পরে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে 100টি বেডের কোরোনা হাসপাতাল ৷ আর একটি 100 বেডের কোরোনা হাসপাতাল হবে চণ্ডীপুরের এক নবনির্মিত বেসরকারি হাসপাতালে ৷
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের মধ্যেই একটি বড় ভবনের খোঁজ করা হচ্ছে ৷ সেখানে গড়ে তোলা হবে 500 বেডের কোরোনা হাসপাতাল ৷ এছাড়া কাঁথিতেও একটি হাসপাতাল তৈরির চিন্তাভাবনা করছে জেলা প্রশাসন ৷ মেচগ্রাম ও চণ্ডীপুরের হাসপাতালগুলির কাজ সম্পূর্ণ হলেই কোরোনা সন্দেহে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি থাকা রোগীদের স্থানান্তরিত করা হবে ৷ এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "জেলার দু'টি বেসরকারি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করে 200 বেডের কোরোনা হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে ৷ চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর ঘাটতি কিছুটা রয়েছে, তা পূরণের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করা হয়ে ছে ৷ সেগুলি পূরণ হলেই চালু করা সম্ভব হবে এই হাসপাতালগুলি ৷"