ETV Bharat / state

2 কোটি কাটমানি ফেরতের দাবি, তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতিকে মারধর

দুই কোটি টাকা কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল কার্যকরী সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ ৷ মন্ত্রীর পরামর্শেই টাকা নিয়েছিলেন বলে পরে দাবি করেন তিনি ৷

রমেশ
author img

By

Published : Aug 4, 2019, 9:58 PM IST

তমলুক, 4 অগাস্ট : তমলুকের কাঁকটিয়ার কাখরদায় প্রতারিতদের হাতে প্রহৃত হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি রমেশচন্দ্র পড়্যা । তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা ৷ এরপর চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রমেশচন্দ্র পড়্যা বলেন, রাজ্যের এক মন্ত্রীর পরামর্শেই তিনি টাকা খরচ করেছিলেন ।

কাঁকটিয়ার ৫ নম্বর কাখরদা অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রমেশবাবু । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে গত কয়েক বছরে আড়ই কোটি টাকা তুলেছিলেন ৷ তা জানাজানি হতেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷

রমেশচন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পেয়ে যেমন বেকার যুবক-যুবতিরা প্রতারিত হয়েছেন, তেমনই এখন টাকা ফেরত চাইতে এসেও রোজ রোজ ঘুরতে হচ্ছে । রবিবার প্রতারিতদের একাংশ এসে চড়াও হন তাঁর বাড়িতে । টাকা না পেয়ে অভিযুক্তকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ ।

শম্ভুনাথ নামে প্রতারিত এক ব্যক্তি বলেন, "গত দুই-তিন বছরে রমেশ পড়্যা চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় আড়াই কোটি টাকা তুলেছেন । এখন সেই টাকা চাইতে এসে রোজ ঘুরতে হচ্ছিল । তাই আমরা আজকে ওনার বাড়ি ঘেরাও করেছি । "

এদিকে রমেশচন্দ্র পড়্যা বলেন, " আমি নিজের মতো করে কিছু করিনি । আমায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল এই কাজ করতে । আমি চেষ্টা চালাচ্ছি সবার টাকা ফেরত দেওয়ার । টাকা মূলত রাজ্যের এক মন্ত্রীর পরামর্শেই খরচ করেছি৷ আমি কথা দিচ্ছি আমাকে যদি কয়েক দিন সময় দেওয়া হয় তাহলে আমি আমার সম্পত্তি বিক্রি করে সবাইকে টাকা ফেরত দিয়ে দেব৷ "

তমলুক, 4 অগাস্ট : তমলুকের কাঁকটিয়ার কাখরদায় প্রতারিতদের হাতে প্রহৃত হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি রমেশচন্দ্র পড়্যা । তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা ৷ এরপর চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রমেশচন্দ্র পড়্যা বলেন, রাজ্যের এক মন্ত্রীর পরামর্শেই তিনি টাকা খরচ করেছিলেন ।

কাঁকটিয়ার ৫ নম্বর কাখরদা অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রমেশবাবু । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে গত কয়েক বছরে আড়ই কোটি টাকা তুলেছিলেন ৷ তা জানাজানি হতেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷

রমেশচন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পেয়ে যেমন বেকার যুবক-যুবতিরা প্রতারিত হয়েছেন, তেমনই এখন টাকা ফেরত চাইতে এসেও রোজ রোজ ঘুরতে হচ্ছে । রবিবার প্রতারিতদের একাংশ এসে চড়াও হন তাঁর বাড়িতে । টাকা না পেয়ে অভিযুক্তকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ ।

শম্ভুনাথ নামে প্রতারিত এক ব্যক্তি বলেন, "গত দুই-তিন বছরে রমেশ পড়্যা চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় আড়াই কোটি টাকা তুলেছেন । এখন সেই টাকা চাইতে এসে রোজ ঘুরতে হচ্ছিল । তাই আমরা আজকে ওনার বাড়ি ঘেরাও করেছি । "

এদিকে রমেশচন্দ্র পড়্যা বলেন, " আমি নিজের মতো করে কিছু করিনি । আমায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল এই কাজ করতে । আমি চেষ্টা চালাচ্ছি সবার টাকা ফেরত দেওয়ার । টাকা মূলত রাজ্যের এক মন্ত্রীর পরামর্শেই খরচ করেছি৷ আমি কথা দিচ্ছি আমাকে যদি কয়েক দিন সময় দেওয়া হয় তাহলে আমি আমার সম্পত্তি বিক্রি করে সবাইকে টাকা ফেরত দিয়ে দেব৷ "

Intro:দুই কোটি টাকা কাটমানি ফেরতের দাবিতে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ , তৃণমূলেরপ্রাক্তন কার্যকারী সভাপতির বিরুদ্ধে ।


প্রতারিতদের হাতে প্রহৃত হলেন তৃণমূলের এক প্রাক্তন নেতা।অভিযোগ কারিরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের কাখর্দ্দা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তের বয়ানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আক্রান্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রমেশ চন্দ্র পড়িয়া নাম নিয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রীর । যা সামনে আসার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
Body:
যদিও এদিনের এই ঘটনার পর প্রতারক কিংবা প্রতারিত পক্ষে এখন পর্যন্ত কেউই অভিযোগ জানাননি পুলিশের কাছে । কাঁকটিয়ার ৫ নম্বর কাখরদা অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন পরেশ বাবু । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলের ওই পদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছিলেন। কয়েক বছরে প্রায় কোটি কোটি টাকা এভাবে বাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।জানাজানি হতে তৃণমূল দল থেকে বহিস্কার করা হয় তাকে।অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পেয়ে যেমন বেকার যুবক-যুবতীরা প্রতারিত হয়েছেন, তেমনি এখন টাকা ফেরত চাইতে এসেও রোজ রোজ ঘুরতে হচ্ছে। রবিবার প্রতারিতদের একাংশ এসে চড়াও হন পরেশের বাড়িতে।টাকা না পেয়ে অভিযুক্তকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।


Conclusion:
শম্ভুনাথ নামের প্রতারিত এক ব্যক্তি বলেন, গত দুই-তিন বছরে রমেশ পড়িয়া চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় আড়াই কোটি টাকা তুলেছেন। এখন সে টাকা চাইতে এসে রোজ ঘুরতে হচ্ছিল। তাই আমরা আজকে ওর বাড়ি ঘেরাও করেছি । এদিন তিনি বলেন, আমি নিজের মতো করে কিছু করিনি। আমায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল এই কাজ করতে। আমি চেষ্টা চালাচ্ছি উনাদের টাকা ফেরত দেওয়ার।আর এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ঘুরে-ফিরে পরেশের মুখে উঠে এসেছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম।যা আরও রহস্য বাড়িয়েছে এই ঘটনার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.