নন্দীগ্রাম, 18 জানুয়ারি : NRC ও CAA-র সমর্থনে শনিবার টাঙ্গুয়া থেকে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি অভিনন্দন র্যালির আয়োজন করা হয়েছে ৷ টাঙ্গুয়া থেকে র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চণ্ডীপুর থেকে র্যালি শুরু করে BJP ৷
যদিও অভিনন্দন র্যালি বানচাল করতে তৎপর তৃণমূল,এমনই অভিযোগ BJP-এর ৷ নন্দীগ্রামের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় খোদামবাড়িতে অভিনন্দন র্যালি আটকায় পুলিশ ৷ BJP কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ৷ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ পিছু হঠতে বাধ্য হয় BJP কর্মী-সমর্থকরা ৷ এখন খোদামবাড়িতেই বিক্ষোভ দেখাছেন তাঁরা ৷
BJP কর্মী-সমর্থকরা যাতে র্যালিতে যোগ দিতে না পারে সেই জন্য হলদিয়ার তিনটি ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ এদিকে র্যালিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জমায়াত শুরু হয় টাঙ্গুয়ায় ৷ অভিযোগ পুলিশ এসে সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে দেয় ৷
খবর পেয়ে টাঙ্গুয়ার আগে চণ্ডীপুর থেকেই অভিনন্দন র্যালি শুরু করেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ কয়েক হাজার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে প্রায় 27 কিলোমিটার যাত্রা শুরু করেন তিনি৷
এদিকে তৃণমূল-BJP-র টানাপোড়েনে ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ ৷ কমলাকান্ত হালদার নামের এক যাত্রীর অভিযোগ, ‘‘BJP-র মিছিলের জন্য খেয়াঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এতে আমার মত বহু সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন ৷ এগুলো দ্রুত বন্ধ করা উচিত ৷’’
নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী ৷ তিনি বলেন, ‘‘ এই জেলায় BJP-এর কোনও প্রভাব নেই ৷ ফলে এখানে লম্ফঝম্প করে কোনও লাভ নেই ৷ আমাদের কেউ খেয়াঘাট বন্ধ করেনি ৷ তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি ৷’’