হলদিয়া, 2 ফেব্রুয়ারি : শতাব্দী প্রাচীন কালী মন্দিরের চুরির ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল 10 জন দুষ্কৃতী । তাদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল । তাদের আপাতত 10 দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । পুলিশ ওই 10 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাচ্ছে । এই চুরির পিছনে বড় কোনও চক্র জড়িত আছে কিনা তা খোঁজ চালাচ্ছে ।
গত 6 জানুয়ারি, রাতের বেলায় মন্দিরের তালা ভেঙে বিগ্রহের প্রায় সাড়ে 3 লাখ টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা । তারা বাদ দেয়নি প্রণামী বাক্সের টাকাও । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছিল এলাকায় । তারা কুকড়াহাটির আনারনগরের একটি ইট ভাটাতে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতে শুরু করে । তারপর থেকে বাড়ির টুকিটাকি জিনিসপত্র চুরি হতে শুরু করে । তারপরেই সুতাহাটার কালী মন্দিরের বিগ্রহের গহনা চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয়দের অনুমানের ভিত্তিতে পুলিশ তিন দিন আগে গভীর রাতে আনারনগরের ইটভাটায় হানা দিয়ে 4 জনকে আটক করে । তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও 6 জনকে পুলিশ আটক করে । পুলিশি জেরার মুখে ধৃতরা মন্দিরের চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় । তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি কাটারি ও দরজা ভাঙার লোহার ভারী অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ । এছাড়াও খোয়া যাওয়া প্রতিমার সমস্ত গয়না, আসবাবপত্র ও প্রণামী বাক্স থেকে খোয়া যাওয়া ১০০০০ টাকা উদ্ধার করে ।
হলদিয়া পুলিশের দাবি, যাযাবর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় এই দুষ্কৃতীরা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতো । দিনের বেলা এলাকায় টহল দিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে নিত । রাত বাড়লেই চুরি করত । মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মন্দিরে চুরির বিষয়টি আমাদের কাছে বেশ স্পর্শকাতর বিষয় ছিল । এখনও তদন্ত চলছে ।