ভাতার, 7 ফেব্রুয়ারি: মাওবাদীদের নামে উড়ো চিঠিতে ঘুম উড়ে গিয়েছে ভাতারের হাজরা পরিবারের (Mao Letter Panic At Bhatar)। যদিও সেই চিঠি কারা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ভাতার থানার পুলিশ। এই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বনপাস পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রামে হাজরা পরিবারের ছোট ছেলে বাড়ির দরজা বন্ধ করতে গিয়ে একটি চিঠি দেখতে পায়। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, জয় বজরংবলী, আমরা মাওবাদী। আপনার গৃহকর্তা 40-50 লক্ষ টাকা রেখে গিয়েছেন। সেই টাকা থেকে 5 লক্ষ টাকা দেবেন। না-হলে বাড়ির ছোট ছেলে অসুবিধায় পড়বে। সেই টাকা আমবোনা গ্রামের বেলতলায় রেখে আসতে বলা হয়েছে সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করা হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পরেই পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাতার থানার পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করে। এই পরিবারের সদস্য অয়ন হাজরা বলেন, "রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমি যখন বাড়ির দরজায় চাবি দিতে যাই তখন দরজা খুলে দেখি একটা কাগজ পড়ে রয়েছে। সেই কাগজ খুলে দেখি আমার মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা আছে, জয় বজরংবলী। আমরা মাওবাদীদের পক্ষ থেকে আপনাকে চিঠি দিচ্ছি। আপনার স্বামী 40-50 লক্ষ টাকা রেখে গিয়েছেন তার মধ্যে 5 লক্ষ টাকা আমাদেরকে দিতে হবে। আমবোনা বেলতলায় যেন সেই টাকা দেওয়া হয়। না-হলে ছেলে অয়নের ক্ষতি হবে। সেই চিঠি পেয়ে আতঙ্কে ভুগতে শুরু করি আমরা। পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ আশ্বস্ত করে গিয়েছে। এর পিছনে কী রহস্য আছে তা আমি জানি না। বছর চারেক আগেও আমার জ্যাঠার কাছেও এই ধরনের চিঠি এসেছিল। ভাতার থানার পুলিশ পুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই চিঠি কারা দিল, আদৌ সেটা মাওবাদীদের কাজ কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।"
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য বিক্ষোভে বিরোধীদের সুবিধা, দলীয় কর্মীদের সংযত হওয়ার বার্তা দেবাংশুর
চিঠি পেয়েই স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে হাজরা পরিবারের সদস্যরা। কে বা কারা কী কারণে এরকম চিঠি দিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। কোনও সমস্যা হলে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাওবাদীরাই এই চিঠি দিয়েছে নাকি অন্যকেউ মাওবাদীদের নাম করে এই চিঠি দিয়েছে তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।