কাটোয়া, 20 জানুয়ারি : গ্রামের সেতু তৈরির কাজ পরিদর্শন করতে এসে 'চোর সুনীল মণ্ডল গো ব্যাক' স্লোগান শুনে সেখান থেকে কোনওরকমে এলাকা ছেড়ে পালালেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Go Back Slogan To Sunil Mandal)। বুধবার কাটোয়ার এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। বুধবার কাটোয়ার মালঞ্চ থেকে দেয়াসিন যাওয়ার সেতু তৈরির কাজ পরিদর্শন করতে যান বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় তিনি বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে গাছে বেঁধে মারধর করার নিদান দেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তিনি ফের তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলা নেতৃত্ব তাঁকে দলে ফেরাতে আপত্তি জানিয়ে বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেয়। এরপর তিনি নিজেই ঘোষণা করেন তিনি বিজেপিতে নয় তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কাটোয়ায় যাননি।
আরও পড়ুন: বৈকুন্ঠপুরে উপ-প্রধানের মদতে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ
এদিন তিনি ওই এলাকায় যেতেই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা সুনীল মণ্ডলকে চোর অপবাদ দিয়ে 'গো ব্যাক স্লোগান' দিতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা। সেখান থেকে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন সাংসদ। মালঞ্চ সেতু তৈরির করার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে 2018 সালে 2 কোটি 25 লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ব্রহ্মাণী নদীর উপরে কয়েকটি পিলার তৈরির কাজ হয়ে যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ ছেড়ে দেয়। এরপর অন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করে। গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামের অনেক শ্রমিক কাজ করার পরেও মজুরি পায়নি। আবার কেউ কয়েক লক্ষ টাকার মালপত্র সাপ্লাই করার পরেও সেই টাকা পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে। যদিও সাংসদ সুনীল মণ্ডলের দাবি, গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঠিকাদারের কী চুক্তি হয়েছিল সেটা জানা নেই। বিষয়টি জেলাশাসককে দেখতে বলেছিলাম। এদিন ফের তিনি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা ভোটের পরেই মিটে গিয়েছে।