বর্ধমান, 29 জানুয়ারি: এক ছাত্রী ও তাঁর মাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বর্ধমান রাজ কলেজের এক অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে, পালটা অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর বাবা-মায়েরর বিরুদ্ধেও । তাই ছাত্রীর বাবা-মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ওই ছাত্রীর বাবাও বর্ধমান টেকনিক্যাল কলেজের একজন অধ্যাপক। যদিও আদালতে তোলার পর বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সকলেরই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন বর্ধমান রাজ কলেজের এক অধ্যাপকের সঙ্গে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর হোয়াট্সঅ্য়াপে কথাবার্তা চলত। গত সোমবার সকালে ওই অধ্যাপক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেন। কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রীর বাবা বেরিয়ে গেলে ওই অধ্যাপক রক্তচাপ মাপার অজুহাতে ছাত্রী ও তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ।
এরপর বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী ও তাঁর বাবা-মা অধ্যাপকের বাড়িতে যান। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে এনিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে অধ্যাপকের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ কলেজের ওই অধ্যাপকের দাবি, ছাত্রীর বাবা-মা তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছেন। এমনকী, ছাত্রীর বাবা তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানিও করেছেন বলে অভিযোগ ওই অধ্য়াপকের৷ এরপর দু’পক্ষই বর্ধমান থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷
আরও পড়ুন: পথ বদলাচ্ছে দামোদর, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে দুষছে স্থানীয়রা
ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরে তাঁদের বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলের কথা শোনেন৷ এরপর সকলেরই জামিন মঞ্জুর করেন তিনি৷