ETV Bharat / state

COVID-19 : করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পৌর হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে - চিকিৎসার নামে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পৌর হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে

কোভিড রোগীদের চিকিৎসা যেখানে বিনামূল্যে পাওয়ার কথা, সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে ৷ কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে ৷ এই নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে পৌরসভার প্রশাসকের কাছে ৷ তবে অভিযুক্তের দাবি, তিনি টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন ৷

কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷
কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷
author img

By

Published : Aug 8, 2021, 4:19 PM IST

Updated : Aug 8, 2021, 6:43 PM IST

কাটোয়া, 8 অগস্ট : কোভিড রোগীদের ফোন করে চিকিৎসার নাম করে কারও কাছে তিনশো, কারও কাছে পাঁচশো টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া পুরসভার হেলথ অফিসার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে । বিষয়টি নিয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক ও কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে । কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন । যদিও ওই হেলথ অফিসারের দাবি, তিনি টেলিমেডিসিন পরিষেবা দিয়েছেন । তার পরিবর্তে ফিজ নিলে এতে অন্যায়ের কিছু নেই ।

কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিজে ফোন করে তাঁদের প্রেসক্রিপশন দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন ৷ কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রেসক্রিপশন দেখে অনেক দোকান ওষুধ দিতে চায় না । ফলে প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি দেওয়ার জন্য ফের দু'শো টাকা দাবি করছেন ওই চিকিৎসক ৷

অক্ষয় সামন্ত নামে এক অভিযোগকারী বলেন, "কিছুদিন আগে আমি কাটোয়া হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাই । আমার পজিটিভ রিপোর্ট আসে । দু-একদিন পরে মোবাইলে অচেনা একটা নম্বর থেকে হেলথ অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোন আসে । শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই হেলথ অফিসার জানান, 300 টাকা দিলে আমাকে কোথাও চিকিৎসা করতে যেতে হবে না । আমি পরিচয় জানতে চাইলে উনি জানান, তিনি কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসার । তিনি বলেন, গুগুল পে-তে 300 টাকা পাঠান । তাহলে আপনাকে প্রেসক্রিপশন দেব । সেই ওষুধ খেয়ে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন । এরপর প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি নেওয়ার জন্য ডাকবাংলো রোডে তাঁর চেম্বারে গিয়ে আরও দু'শো টাকা দিতে হবে । পরে বন্ধুদের কাছে জানতে পারি এই চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা দিতে হয় না । কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি ।"

কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷

কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনার রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ।"

যদিও পৌরসভার হেলথ অফিসার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন সব জায়গায় টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছে । সেই মতো একজন ফোন করে প্রেসক্রিপশন চেয়েছিলেন । তাই টাকা নেওয়া হয়েছিল । আমি তো তাঁর উপকার করেছি । আমার পারিশ্রমিক আমি নিয়েছি । এতে দোষের কী আছে ?"

আরও পড়ুন : Icmr : আইসিএমআর-এর গবেষণা, কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের মিলিত প্রয়োগের ফল ইতিবাচক

কাটোয়া, 8 অগস্ট : কোভিড রোগীদের ফোন করে চিকিৎসার নাম করে কারও কাছে তিনশো, কারও কাছে পাঁচশো টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া পুরসভার হেলথ অফিসার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে । বিষয়টি নিয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক ও কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে । কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন । যদিও ওই হেলথ অফিসারের দাবি, তিনি টেলিমেডিসিন পরিষেবা দিয়েছেন । তার পরিবর্তে ফিজ নিলে এতে অন্যায়ের কিছু নেই ।

কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিজে ফোন করে তাঁদের প্রেসক্রিপশন দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন ৷ কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রেসক্রিপশন দেখে অনেক দোকান ওষুধ দিতে চায় না । ফলে প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি দেওয়ার জন্য ফের দু'শো টাকা দাবি করছেন ওই চিকিৎসক ৷

অক্ষয় সামন্ত নামে এক অভিযোগকারী বলেন, "কিছুদিন আগে আমি কাটোয়া হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাই । আমার পজিটিভ রিপোর্ট আসে । দু-একদিন পরে মোবাইলে অচেনা একটা নম্বর থেকে হেলথ অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোন আসে । শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই হেলথ অফিসার জানান, 300 টাকা দিলে আমাকে কোথাও চিকিৎসা করতে যেতে হবে না । আমি পরিচয় জানতে চাইলে উনি জানান, তিনি কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসার । তিনি বলেন, গুগুল পে-তে 300 টাকা পাঠান । তাহলে আপনাকে প্রেসক্রিপশন দেব । সেই ওষুধ খেয়ে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন । এরপর প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি নেওয়ার জন্য ডাকবাংলো রোডে তাঁর চেম্বারে গিয়ে আরও দু'শো টাকা দিতে হবে । পরে বন্ধুদের কাছে জানতে পারি এই চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা দিতে হয় না । কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি ।"

কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷

কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কাটোয়া পৌরসভার হেলথ অফিসারের বিরুদ্ধে করোনার রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ।"

যদিও পৌরসভার হেলথ অফিসার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন সব জায়গায় টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছে । সেই মতো একজন ফোন করে প্রেসক্রিপশন চেয়েছিলেন । তাই টাকা নেওয়া হয়েছিল । আমি তো তাঁর উপকার করেছি । আমার পারিশ্রমিক আমি নিয়েছি । এতে দোষের কী আছে ?"

আরও পড়ুন : Icmr : আইসিএমআর-এর গবেষণা, কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের মিলিত প্রয়োগের ফল ইতিবাচক

Last Updated : Aug 8, 2021, 6:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.