কেতুগ্রাম,17 জুন : এলাকায় ইমিটেশনের একটি নতুন দোকান খোলা হচ্ছে ৷ এই কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হওয়ার কথা এলাকার মহিলাদের ৷ কিন্তু কেতুগ্রামের ছবিটা একটু অন্য ৷ ইমিটেশনের দোকান খোলার আগেই দোকানের সামনে চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেল ৷ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, সেখানের বেশিরভাগ খরিদ্দারই পুরুষ ৷ ইমিটেশনের দোকানের সামনে পুরুষদের ভিড় ! খবরটি কানে যেতে সন্দেহ হয়, কেতুগ্রাম থানার পুলিশের ৷ দোকানে হানা দিতেই অবাক পুলিশ ৷ দোকানে প্রসাধনী দ্রব্যের জায়গায় থরে থরে সাজানো বিদেশি ও দেশি মদের বোতল ।
করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারি বিধিনিষেধ থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা থাকছে ৷ কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে সেই সময়ের মধ্যেই চলছে মদের দোকান । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মদের দোকান বন্ধ হওয়ার পরই খুলত ওই ইমিটেশনের দোকান । সেখানে চড়া দামে বিক্রি হত বিদেশি মদ । দীপক মজুমদার নামে এক ব্যক্তি নতুন ইমিটেশনের দোকানটি খুলেছেন ৷ তবে দোকান এখনও চালু হয়নি ৷ দোকানে চলছে মাল সাজানোর কাজ ৷ আর তার পাশেই চলছিল দেদার মদের কেনাবেচা ৷ বিধিনিষেধের মধ্যেই সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানগুলি খুলছে ৷ কেতুগ্রামের উদ্ধরণপুরে সন্ধ্যে ছ'টায় বন্ধ হয়ে যায় মদের দোকান ৷ এরপর লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান থেকে মদ কিনে তা চড়া দামে বেচা হয় ইমেটেশনের দোকানে ৷
আরও পড়ুন : নাবালিকাকে ধর্ষণে বাধা পেয়ে খুনের চেষ্টা যুবকের , পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব বিজেপি
ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার হয়েছেন ইমিটেশন দোকানের মালিক দীপক মজুমদার, কর্মী দীপক মিস্ত্রি ৷ মদের দোকানের মালিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ পুলিশকে দীপক জানান, তাঁকে সরকারি দোকানের মালিক সুব্রতই মদ বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন । এরপরই পুলিশ, সুব্রতকে গ্রেফতার করে । কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিনজনকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।