ETV Bharat / state

Salua Training Camp : দয়া করে গুলি চালানো বন্ধ করুন, জেলাশাসককে চিঠি সালুয়াবাসীর - training camp

মেদিনীপুর জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর 1 নম্বর ব্লকের 2 নং হরিয়াতাড়া অঞ্চলের টাঙাসোল এলাকার দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে সালুয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প । এই ক্যাম্পে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ট্রেনিং হয় । তাই বছরের বিভিন্ন সময় চলে বন্দুক ও রাইফেলের ট্রেনিং । ক্যাম্পের চালানো গুলিতে প্রায়ই আক্রান্ত হতে হয় গ্রামবাসীদের ৷ আর তাই বাধ্য হয়ে এবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীদের একাংশ ৷

সালুয়া
সালুয়া
author img

By

Published : Nov 9, 2021, 11:04 PM IST

সালুয়া, 9 নভেম্বর : ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে মাঝে মাঝেই গুলি চলে আসে দু-আড়াই কিমি দূরের গ্রামে ৷ তাতে আহত হন গ্রামবাসীরাও ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যু না হলেও দুটি গোরু মারা গিয়েছে গুলির আঘাতে ৷ গুলি লেগে প্রায়ই আহত হন গ্রামবাসীরা ৷ এভাবেই দিনের পর দিন আতঙ্কে কাটাচ্ছেন খড়গপুর 1 নম্বর ব্লকের টাঙাসোলের গ্রামবাসীরা ৷ আর তাই বাধ্য হয়ে এবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সকলের সই করা চিঠিতে আবেদন একটাই "গুলি চালানো বন্ধ করুন ৷"

মেদিনীপুর জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর 1 নম্বর ব্লকের 2 নং হরিয়াতাড়া অঞ্চলের টাঙাসোল এলাকার দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে সালুয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প । এই ক্যাম্পে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ট্রেনিং হয় । তাই বছরের বিভিন্ন সময় চলে বন্দুক ও রাইফেলের ট্রেনিং । ক্যাম্পের চালানো গুলিতে প্রায়ই আক্রান্ত হতে হয় গ্রামবাসীদের ৷

1980 সাল থেকে এই ঘটনা চলে আসছে ৷ 1980 সালের 9 জানুয়ারি আক্রান্ত হন সুজিত মাহাতো ৷ তারপর 1989 সালে নগেন্দ্র নাথ মাহাতো, এছাড়াও অনিল মাহাতো, শুকুন্তলা মাহাতো ৷ সম্প্রতি সন্ধ্যারানি মাহাতো নামে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জল আনতে গিয়ে ট্রেনিং ক্যাম্পের চলা গুলিতে আহত হয় । এরপর তড়িঘড়ি খড়গপুর ও পরে মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে সন্ধ্যা ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ক্যাম্পের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ যদিও 29 তারিখের একটি ছাত্রীর গুলি লাগার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এই ট্রেনিং চলাকালীন খড়গপুর ক্যাম্প থেকে একটি গুলির স্প্লিন্টার ছিটকে গিয়ে গ্রামের এক ছাত্রী আহত হয়েছে এবং সে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে ৷ এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি দায়িত্ব এড়িয়েছেন । কিন্তু তারপরও কোনও সাড়াই মেলেনি ৷ এখনও চলছে ট্রেনিং ৷ তাই রীতিমতো গুলি লাগার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা ৷

তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে চাষবাসের জন্য বাইরে থেকে ডেকে আনা মজুররাও গুলি লাগার ভয়ে কাজ করতে চায় না । এহেন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে অবশেষে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা ৷ পিটিশন দিয়ে ক্যাম্পের ফায়ারিং বন্ধের জন্য ও নির্দিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ।

সালুয়ায় ট্রেনিং কেন্দ্র থেকে গুলি চালানোয় একাধিক গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনায় জেলাশাসকের দরবারে চিঠি স্থানীয়দের
এলাকার বাসিন্দা গণেশ মাহাতো ও বিপ্লব মাহাতোরা জানান, দীর্ঘ 1980 সাল থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে এলাকায় । যথেষ্ট নিরাপত্তা না নিয়ে এই ট্রেনিং ক্যাম্পে গুলি চালানো হয় আর যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামবাসীরা । তৎকালীন সময় থেকেই অভিযোগের পর অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি ৷ গত 29 তারিখের ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত ৷

তাঁরা বলেন, "আমাদের দাবি অবিলম্বে বন্ধ করুন এই গুলি চালানো ৷ জেলাশাসকের কাছে আবেদন যাতে অবিলম্বে এই ট্রেনিং ক্যাম্পের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আয়তন সব কিছুই বাড়ানো হয় এবং নিরাপত্তার সঙ্গে যেন গুলি চালিয়ে ট্রেনিং করে যাতে কোনওভাবে গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।"

1980 সাল থেকেই এই ধরনের ট্রেনিং চললেও কেন গ্রামবাসীদের এভাবে গুলির আঘাতে জখম হতে হয়, কেন ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে গুলি দু কিমি দূরের গ্রামে ছিটকে আসে সব বিষয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷ কবে এর সুরাহা হবে ? কবে নিশ্চিন্তে বাঁচবেন গ্রামবাসীরা ? অপেক্ষায় টাঙাসোল ৷

সালুয়া, 9 নভেম্বর : ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে মাঝে মাঝেই গুলি চলে আসে দু-আড়াই কিমি দূরের গ্রামে ৷ তাতে আহত হন গ্রামবাসীরাও ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যু না হলেও দুটি গোরু মারা গিয়েছে গুলির আঘাতে ৷ গুলি লেগে প্রায়ই আহত হন গ্রামবাসীরা ৷ এভাবেই দিনের পর দিন আতঙ্কে কাটাচ্ছেন খড়গপুর 1 নম্বর ব্লকের টাঙাসোলের গ্রামবাসীরা ৷ আর তাই বাধ্য হয়ে এবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ সকলের সই করা চিঠিতে আবেদন একটাই "গুলি চালানো বন্ধ করুন ৷"

মেদিনীপুর জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর 1 নম্বর ব্লকের 2 নং হরিয়াতাড়া অঞ্চলের টাঙাসোল এলাকার দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে সালুয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প । এই ক্যাম্পে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ট্রেনিং হয় । তাই বছরের বিভিন্ন সময় চলে বন্দুক ও রাইফেলের ট্রেনিং । ক্যাম্পের চালানো গুলিতে প্রায়ই আক্রান্ত হতে হয় গ্রামবাসীদের ৷

1980 সাল থেকে এই ঘটনা চলে আসছে ৷ 1980 সালের 9 জানুয়ারি আক্রান্ত হন সুজিত মাহাতো ৷ তারপর 1989 সালে নগেন্দ্র নাথ মাহাতো, এছাড়াও অনিল মাহাতো, শুকুন্তলা মাহাতো ৷ সম্প্রতি সন্ধ্যারানি মাহাতো নামে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জল আনতে গিয়ে ট্রেনিং ক্যাম্পের চলা গুলিতে আহত হয় । এরপর তড়িঘড়ি খড়গপুর ও পরে মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে সন্ধ্যা ৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ক্যাম্পের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ যদিও 29 তারিখের একটি ছাত্রীর গুলি লাগার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এই ট্রেনিং চলাকালীন খড়গপুর ক্যাম্প থেকে একটি গুলির স্প্লিন্টার ছিটকে গিয়ে গ্রামের এক ছাত্রী আহত হয়েছে এবং সে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে ৷ এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি দায়িত্ব এড়িয়েছেন । কিন্তু তারপরও কোনও সাড়াই মেলেনি ৷ এখনও চলছে ট্রেনিং ৷ তাই রীতিমতো গুলি লাগার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা ৷

তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে চাষবাসের জন্য বাইরে থেকে ডেকে আনা মজুররাও গুলি লাগার ভয়ে কাজ করতে চায় না । এহেন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে অবশেষে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা ৷ পিটিশন দিয়ে ক্যাম্পের ফায়ারিং বন্ধের জন্য ও নির্দিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ।

সালুয়ায় ট্রেনিং কেন্দ্র থেকে গুলি চালানোয় একাধিক গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনায় জেলাশাসকের দরবারে চিঠি স্থানীয়দের
এলাকার বাসিন্দা গণেশ মাহাতো ও বিপ্লব মাহাতোরা জানান, দীর্ঘ 1980 সাল থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে এলাকায় । যথেষ্ট নিরাপত্তা না নিয়ে এই ট্রেনিং ক্যাম্পে গুলি চালানো হয় আর যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামবাসীরা । তৎকালীন সময় থেকেই অভিযোগের পর অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি ৷ গত 29 তারিখের ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত ৷

তাঁরা বলেন, "আমাদের দাবি অবিলম্বে বন্ধ করুন এই গুলি চালানো ৷ জেলাশাসকের কাছে আবেদন যাতে অবিলম্বে এই ট্রেনিং ক্যাম্পের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আয়তন সব কিছুই বাড়ানো হয় এবং নিরাপত্তার সঙ্গে যেন গুলি চালিয়ে ট্রেনিং করে যাতে কোনওভাবে গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।"

1980 সাল থেকেই এই ধরনের ট্রেনিং চললেও কেন গ্রামবাসীদের এভাবে গুলির আঘাতে জখম হতে হয়, কেন ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে গুলি দু কিমি দূরের গ্রামে ছিটকে আসে সব বিষয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷ কবে এর সুরাহা হবে ? কবে নিশ্চিন্তে বাঁচবেন গ্রামবাসীরা ? অপেক্ষায় টাঙাসোল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.