দাসপুর 5 মে : প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় ৷ তারপর প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দাসপুরের দুই নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে দিঘার এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে বেকায়দায় ভিন জেলার দুই যুবক (two youth arrests for allegedly elope on two minor girls) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার শ্রীধরপুর এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর এলাকার এক যুবকের পরিচয় হয় ফেসবুক সূত্রে। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা বিট্টু জানা। গত 2 মে বাড়ি থেকে পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যায় শ্রীধরপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছিল তার আরও এক সহপাঠী। রাস্তাতেই দেখা হয় বিট্টু জানা এবং তার আরেক সঙ্গী রাধাকান্ত বেরার সঙ্গে। নাবালিকার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ,সেখান থেকে দুই নাবালিকাকে একটি গাড়িতে করে গোপিগঞ্জের নিয়ে যায় ধৃত যুবক ও তার সঙ্গী ৷
ওই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁতে চাউমিন খাবার সময় খাবারের সঙ্গে কিছু মাদকদ্রব্য খাইয়ে দেয় ৷ ফলে নাবালিকা দু'জন অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে দেখে তারা দিঘার হোটেলে রয়েছে এবং দুটি পাশাপাশি রুমে দুই যুবক তাদের পাশেই শুয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে নাবালিকা ছাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ভয় পেয়ে কীর্তিমান দুই যুবক তাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে আসে ওই মারুতি নিয়েই।
আরও পড়ুন : এরকম হলে আর ঘর ভাড়া দেব না, আতঙ্কিত খুনে অভিযুক্ত সুশান্তর মেস মালিক
এদিকে টানা দু'দিন নিখোঁজ থাকার কারণে পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজখবর শুরু করে দেয়। বুধবার রাত নাগাদ মারুতি গাড়ি নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতেই অপরিচিত যুবকদের ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের একটি ক্লাব ঘরে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় রাতেই এক নাবালিকা ওই ক্লাব ঘরেই একটি রুমে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অবশেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার বাড়ির লোকের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই দুই যুবকে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ।