চন্দ্রকোনা, 25 জানুয়ারি : একসময় জঙ্গলমহলের ত্রাস ছিলেন মাওবাদী নেতা অসীম মণ্ডল ৷ একদা সক্রিয় এই মাওবাদী নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ । পিপলস ওয়ারস গ্রুপ (Peoples War Group) ও জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর সংগঠন বৃদ্ধির কাজের সূত্রে অসীম মণ্ডল ‘আকাশ’ উপাধি পায় (Ashim Mandal gets the title of 'Akash' for his work of organizational growth) ৷ আজ তার চন্দ্রকোনার বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশ আসে । তাঁকে না পেয়ে বাড়ির পাশে লাগানো হয়েছে নোটিশ । তাতে লেখা, আকাশের মাথার দাম রাখা হয়েছে এক কোটি টাকা ৷
আজ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর জেলার পটমদা থানার দুই পুলিশ কর্মী আদালতের নির্দেশে মাওবাদী নেতার বাড়িতে আসেন । তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে দু‘টি নোটিশ জারি করে পুলিশ ৷ এক মাসের মধ্যে আকাশ আত্মসমর্পণ না করলে তাঁর সম্পত্তি ক্রোক করা হবে । এছাড়াও আকাশের খোঁজ দিতে পারলে 1 কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফুলচক গ্রামের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত তুখোড় ৷ আশির দশকে জেলার গড়বেতা কলেজে পড়াশোনা করতে করতেই যুক্ত হয় রাজনীতির সঙ্গে । তারপরেই হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি । গত নয়ের দশকের দিকে আবার তিনি চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন । সুদীপ চোংদার, অসিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিক গণসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন । 1998-2000 সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় ।
আরও পড়ুন : প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যে একাধিক রেলস্টেশনে মাওবাদী নাশকতার সতর্কতা সেন্ট্রাল আইবির
সেসময় জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর এক মহিলা সদস্য অণু মাইতি (ওরফে কল্পনা মাইতি)-কে বিয়ে করেন অসীম । ধাপে ধাপে চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামের অসীম মণ্ডল হয়ে ওঠে মাওবাদীর একজন প্রথম সারির নেতা ৷ তাঁর নেতৃত্বে মাওবাদী সক্রিয়তায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জঙ্গলমহল । পরবর্তীকালে 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদীর প্রভাব অনেকটাই কমেছে ৷ ফলে বিভিন্ন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, অনেকে আবার গা-ঢাকা দিয়েছেন । তাঁদের খোঁজেই ফের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷