চন্দ্রকোণা, 6 অগস্ট: ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি শালবনি হাসপাতালের বিএমওএইচ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ এমনকী ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দাও একই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি ৷ অভিযোগ, শনিবার চন্দ্রকোণা পৌরসভার খিড়কিবাজারে অবস্থিত একটি অভিজাত মিষ্টির দোকান থেকে কেনা দই খেয়েছিলেন সকলে ৷ দই খাওয়ার পর থেকেই একে একে সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য ও খাদ্য দফতর তদন্ত শুরু করেছে ৷
চন্দ্রোকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিমএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, "গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে অনেকেই ভরতি হয়েছেন চিকিৎসার জন্য ৷ সকলেরই ডায়রিয়ার উপসর্গ রয়েছে ৷ প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট মিষ্টির দোকান থেকে দই খেয়েছিলেন ৷ পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে ৷ তারা বিষয়টি দেখছে ৷" জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে 12 জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি ৷
শালবনি হাসপাতালের বিএমওএইচ কৌশিক সিং এবং তাঁর বাবা ও ভাই ওই একই দোকানের কেনা দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, খিড়কিবাজারের ওই দোকান থেকে প্রায়ই তাঁরা মিষ্টি ও দই কিনে খান ৷ কিন্তু, গতকাল সন্ধ্যায় কেনা দই খাওয়ার পর থেকেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা ৷ আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর ৷ তবে, ইতিমধ্যে ওই মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়েছেন খাদ্য দফতর ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক, অসুস্থ শিক্ষক-সহ একাধিক ছাত্রী
মিষ্টির দোকান থেকে সবরকম খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ এমনকী যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের বাড়ি থেকেও গতকালের কেনা দইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে ৷ মিষ্টির দোকানের দইয়ে কোনও রকম সংক্রামক জীবাণু বা ওই জাতীয় কিছু পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক অরূপ ধাড়া ৷
তিনি বলেন, "রাতে হঠাৎই খবর পাই বেশ কিছু মানুষ হাসাপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ একটা মিষ্টির দোকানের দই খেয়েছেন তাঁরা ৷ আমরা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর ও খাদ্য দফতরের সঙ্গেও কথা বলেছি ৷ দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" রবিরার সকালে অসুস্থদের দেখতে তিনি হাসপাতালে যান ৷ কথা বলেন রোগীদের সঙ্গেও ৷