মেদিনীপুর, 12 ফেব্রুয়ারি: দৌড়নোর কোনও বয়স নেই, নেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বয়স ৷ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন 106 বছরের বৃদ্ধা রামবাঈ। শতবর্ষ পেরিয়েও হরিয়ানার মহিলা তাক লাগালেন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে। 100 মিটার, 200 মিটার দৌড়-সহ শটপুটে প্রথম হয়ে নজর কাড়লেন এই বৃদ্ধা (Haryana Old Lady gets First Prizes in three multiple events at International Athletics Meet) ।
গত কয়েকদিন ধরে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে চলছে তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগারের 42তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স মিট 2023 । কেবল রাজ্য কিংবা দেশ নয়, আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে বরং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা-সহ ভিনদেশের বহু প্রতিযোগী। প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রায় 1 হাজার 200 ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷ এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়াম ও জামতলা মাঠে ৷ প্রতিযোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইআইটিতে।
এই প্রতিযোগিতায় বয়স্কদের দৌড়, শটপুটে অংশগ্রহণ করে প্রথম হয়ে চমকে দিলেন হরিয়ানার 106 বছরের বৃদ্ধা রামবাঈ। নাতনি এবং মেয়ের সঙ্গে রামবাঈ এসেছেন এই অ্যাথলেটিক্সে যোগ দিতে। 104 বছর বয়সে তাঁর ইচ্ছে জাগে এই অ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন কম্পিটিশনের নাম দেওয়ার। আর সেই থেকেই তিনি নাম দিয়ে আসছেন। তাই এবারও সেই তিনটি ইভেন্টে নাম দিয়েছেন এই মেদিনীপুর তরুণ সংঘর অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায়।
আরও পড়ুন: ক্যারামে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রেশমা কুমারী ইটিভি ভারতের মুখোমুখি
যেখানে অন্যান্য প্রতিযোগিদের হারিয়ে তিনি শটপুটে প্রথম ৷ পাশাপাশি 100 মিটার এবং 200 মিটারেও প্রথম হয়ে নজর কেড়েছেন শতায়ু রামবাঈ। বয়স যে কেবল সংখ্যা মাত্র তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। অন্যান্য প্রতিযোগীদের হারিয়ে তিনি সেরার সেরা শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন ৷ যদিও এই বয়সেও কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না তাঁর, নেই ব্লাড সুগার, প্রেসার অথবা কোনও ছোট-বড় অসুখ। প্রতিদিন নির্ভেজাল দুধ ও ঘি খেয়েই রামবাঈ হরিয়ানার নাম উজ্জ্বল করলেন এই আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায়।
এদিন প্রতিযোগিতার শেষে ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামবাঈ জানান, আগামিদিনের ইচ্ছে আরও দৌড়নো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা ৷ তবে নাতনি শর্মিলার বক্তব্য, "ঠাকুমা এখনও পর্যন্ত ইয়ংদের মতো দৌড়-ঝাঁপ করতে ভালোবাসেন। যখন বয়স 104 বছর ছিল তখন থেকে তাঁর ইচ্ছে জাগে এসব কম্পিটিশনে অংশ নেওয়ার। ঠাকুমা এখনও পর্যন্ত কোনওরকম অসুখ-বিসুখে পড়েনি বা ওষুধ খান না ৷ বরং দিন দিন আরও তরতাজা ইয়ং হয়ে দৌড়-ঝাঁপে অংশগ্রহণ করছেন। এই ঘটনায় খুশি তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগার। তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এই ধরনের প্রতিযোগীকে পেয়ে।