মেদিনীপুর, 17 জুলাই: ভোট পর্ব শুরু হলেই চলে দেওয়াল লিখন যুদ্ধ । কার্টুন, ছড়া কবিতার সঙ্গে বিভিন্ন চিহ্নে রং-বেরঙে ভরে ওঠে বিভিন্ন দেওয়াল । কিন্তু ভোটের পর পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও দেওয়াল লিখন না মোছায় দৃশ্যদূষণ মেদিনীপুর শহরজুড়ে(electoral writings are visible in Medinipur city even after five months of election)। প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক দলের সক্রিয়তা এবং পৌরসভার দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে ।
পাঁচ মাস হল মেদিনীপুর শহরে ভোট হয়ে গিয়েছে ৷ পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডের ভোটে সমগ্র শহরজুড়ে ফ্লেক্স, ফেস্টুন ও ব্যানারে ভরিয়ে তোলা হয়েছিল । এরপর ভোট মিটেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৷ ফলাফলের নিরিখে মেদিনীপুর পৌরসভাতে এককভাবে কুড়িটি আসন দখল করেছে তৃণমূল । তবে ভোট ফুরিয়ে গেলেও এখনও দেওয়াল লিখন রয়ে গিয়েছে ৷ আর তাতেই ক্ষোভ জন্মেছে শহরবাসীর মধ্যে । অনেকেই তিতিবিরক্ত । অনেকেই জানান, ভোটের জন্য দেওয়াল লিখন হলেও কেন ভোট ফুরোলেও দেওয়াল মুছে ফেলা হয়নি । কেন কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয়তা দেখা যায়নি । কেন মেদিনীপুর পৌরসভা উদ্যোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত এই প্রার্থীদের দেওয়াল লিখন মুছে ফেলেনি, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে বাংলারও, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, "প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলির উচিত ছিল ভোট পর্ব মেটানোর পরেই দেওয়াল মুছে ফেলা। কিন্তু তৃণমূল তা করতে দেয়নি এবং করেনি । ফলে মেদিনীপুর শহর এখন দৃশ্যদূষণে ভুগছে । আমরা বহুবার আবেদন নিবেদন করেছি কিন্তু ফল কিছুতেই কিছু হয়নি ।
এই দেওয়াল লিখন মোছার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়ে মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "ভোট পর্ব মেটার পরেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের উচিত ছিল দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার । আমি আমার দলের কাউন্সিলর এবং কর্মীদের বলব যার যার ওয়ার্ডে এই ধরনের দেওয়াল লেখা রয়েছে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলা হোক । যদিও মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বক্তব্য, "অনেকগুলো দেওয়াল মুছে ফেলা হয়েছে । কিছু বাকি রয়েছে তা আগামী দিনে মুছে ফেলা হবে ।"
আরও পড়ুন : 'জয় বাংলা' মাস্ক পড়ে 21 জুলাইয়ের জনসভায় করোনা তাড়াবে তৃণমূল, কটাক্ষ সুকান্ত'র