ETV Bharat / state

Dilip Ghosh : এখানে বোম-বন্দুকের কারখানা চলছে, কটাক্ষ দিলীপের

author img

By

Published : Aug 29, 2021, 11:01 PM IST

মেদিনীপুরে গুলিচালনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ ৷ বললেন, এখানে বোমা-বন্দুকের কারখানা চলছে ৷ পাশাপাশি পুলিশকেও একহাত নিলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে ৷

তৃণমূল-মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপের
মেদিনীপুরে গুলিচালনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ ৷

মেদিনীপুর, 29 অগস্ট : পঞ্চায়েত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ৷ পাশাপাশি মেদিনীপুরের গুলিকাণ্ড নিয়ে তিনি পুলিশের নিন্দা করেন ৷ পুলিশের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি ৷

শনিবার রাতে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী সদলবলে একটি হোটেলে এসে প্রকাশ্যে বন্দুক দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করে ৷ পিস্তল নিয়ে ভয় দেখায় শ্মশান যাত্রী এক যুবককেও । এরপর তারা পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায় ৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতী শুধু একটি নয়, একাধিক পিস্তল টেবিলে সাজিয়ে রেখে ভয় দেখাচ্ছে দোকান মালিক এবং হোটেলের কর্মচারীকে । তাঁর কানের পাশেও বন্দুক ধরা হচ্ছে ৷ এরকম হাড় হিম করা ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন । তড়িঘড়ি দু'ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় মেদিনীপুর থেকে ।

এই ঘটনার জন্যই এদিন মেদিনীপুরে বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দিলীপ ৷ বলেন, "সামনে নির্বাচন ৷ তাই বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর চক্রান্ত চলছে ৷ এভাবে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে । এখানে বোম-বন্দুকের কারখানা চলছে ৷ এটাই শিল্প ৷ এ যেন আফগানিস্তানের মতো অবস্থা হয়ে উঠেছে ৷ মানুষ যাবে কোথায় ?"

তাঁর দাবি, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, জেলার খড়্গপুরেও গুলি চলেছে ৷ এটিএম গাড়ি লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে । এছাড়া বন্দুক দেখিয়ে চুরি-ছিনতাই তো চলছেই ক্রমাগত । কারণ এই দুষ্কৃতীরাই এখন তৃণমূল পার্টি চালাচ্ছে ৷ তাই পুলিশ তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে না । আর এই ধরনের সন্ত্রাস বেড়েই চলছে । এই ঘটনা খুবই লজ্জা এবং নিন্দনীয় । সাধারণ মানুষের এর বিরোধিতা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।

মেদিনীপুরে গুলিচালনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ ৷

ঘটনার দু'ঘণ্টার মধ্যেই মূল দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা করেছে । তার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ বলেন, "ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়ার পর পুলিশ তা দেখে দুষ্কৃতী ধরেছে ৷ এতে পুরস্কার পাওয়ার কিছু নেই ৷ এখন পুলিশ এত সক্রিয়, কিন্তু যখন রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপির কর্মীরা মারা যাচ্ছিলেন তখন পুলিশ কোথায় ছিল ? আমরা ভিডিয়ো ফুটেজে দোষীদের নাম উল্লেখ করেছিলাম তবুও তাদের ধরেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ । পরবর্তীকালে কোর্টের নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন যে 16 জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে । আমরা পুলিশের সঙ্গে রয়েছি । তবে পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিক ।"

আরও পড়ুন : Gunfire : শ্মশানে দাহ করার সময় চলল গুলি, মেদিনীপুর জুড়ে আতঙ্ক

এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়েও তাকে কটাক্ষ করেন ৷ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রসঙ্গে বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও তিনি গিয়েছিলেন বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ৷ যদিও পরবর্তীকালে তাঁরা কেউ আর মুখ্যমন্ত্রী নেই । তিনি গেলে কেউ দেখা করেন না, এক কাপ চা-ও খাওয়ান না । এবারে তিনি নিজে গিয়ে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে চা খেয়ে এলেন ৷ কিন্তু তারপর খালি হাতে ফিরে এসেছেন । এখন তিনি ত্রিপুরা নিয়ে লেগে রয়েছেন । তবে সিবিআই যেভাবে তৃণমূল নেতাদের পিছনে লেগেছে, ক্ষমতা থাকলে উনি নেতাদের বাঁচিয়ে নিন ।"

পাশাপাশি রাজ্যপালের বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যপাল যথার্থই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং সংবিধান মেনেই কথা বলেছেন ৷ তিনি কোনও ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করছেন না ।"

পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বিজেপি ইতিমধ্যে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে । বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনওরকম ফাঁকফোকর আর রাখতে চাইছে না । তাই আগে ভাগেই প্রস্তুতি সভা সেরে ফেলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ।

আরও পড়ুন : Medinipur Gunfire : দু'ঘণ্টার মধ্যে মূল দুষ্কৃতী গ্রেফতার, 50 হাজার টাকা সাহসিকতার পুরস্কার কোতোয়ালি থানাকে

মেদিনীপুর, 29 অগস্ট : পঞ্চায়েত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ৷ পাশাপাশি মেদিনীপুরের গুলিকাণ্ড নিয়ে তিনি পুলিশের নিন্দা করেন ৷ পুলিশের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি ৷

শনিবার রাতে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী সদলবলে একটি হোটেলে এসে প্রকাশ্যে বন্দুক দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করে ৷ পিস্তল নিয়ে ভয় দেখায় শ্মশান যাত্রী এক যুবককেও । এরপর তারা পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায় ৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতী শুধু একটি নয়, একাধিক পিস্তল টেবিলে সাজিয়ে রেখে ভয় দেখাচ্ছে দোকান মালিক এবং হোটেলের কর্মচারীকে । তাঁর কানের পাশেও বন্দুক ধরা হচ্ছে ৷ এরকম হাড় হিম করা ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন । তড়িঘড়ি দু'ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় মেদিনীপুর থেকে ।

এই ঘটনার জন্যই এদিন মেদিনীপুরে বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দিলীপ ৷ বলেন, "সামনে নির্বাচন ৷ তাই বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর চক্রান্ত চলছে ৷ এভাবে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে । এখানে বোম-বন্দুকের কারখানা চলছে ৷ এটাই শিল্প ৷ এ যেন আফগানিস্তানের মতো অবস্থা হয়ে উঠেছে ৷ মানুষ যাবে কোথায় ?"

তাঁর দাবি, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, জেলার খড়্গপুরেও গুলি চলেছে ৷ এটিএম গাড়ি লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে । এছাড়া বন্দুক দেখিয়ে চুরি-ছিনতাই তো চলছেই ক্রমাগত । কারণ এই দুষ্কৃতীরাই এখন তৃণমূল পার্টি চালাচ্ছে ৷ তাই পুলিশ তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে না । আর এই ধরনের সন্ত্রাস বেড়েই চলছে । এই ঘটনা খুবই লজ্জা এবং নিন্দনীয় । সাধারণ মানুষের এর বিরোধিতা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।

মেদিনীপুরে গুলিচালনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ ৷

ঘটনার দু'ঘণ্টার মধ্যেই মূল দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা করেছে । তার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ বলেন, "ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়ার পর পুলিশ তা দেখে দুষ্কৃতী ধরেছে ৷ এতে পুরস্কার পাওয়ার কিছু নেই ৷ এখন পুলিশ এত সক্রিয়, কিন্তু যখন রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপির কর্মীরা মারা যাচ্ছিলেন তখন পুলিশ কোথায় ছিল ? আমরা ভিডিয়ো ফুটেজে দোষীদের নাম উল্লেখ করেছিলাম তবুও তাদের ধরেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ । পরবর্তীকালে কোর্টের নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন যে 16 জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে । আমরা পুলিশের সঙ্গে রয়েছি । তবে পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিক ।"

আরও পড়ুন : Gunfire : শ্মশানে দাহ করার সময় চলল গুলি, মেদিনীপুর জুড়ে আতঙ্ক

এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়েও তাকে কটাক্ষ করেন ৷ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রসঙ্গে বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও তিনি গিয়েছিলেন বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ৷ যদিও পরবর্তীকালে তাঁরা কেউ আর মুখ্যমন্ত্রী নেই । তিনি গেলে কেউ দেখা করেন না, এক কাপ চা-ও খাওয়ান না । এবারে তিনি নিজে গিয়ে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে চা খেয়ে এলেন ৷ কিন্তু তারপর খালি হাতে ফিরে এসেছেন । এখন তিনি ত্রিপুরা নিয়ে লেগে রয়েছেন । তবে সিবিআই যেভাবে তৃণমূল নেতাদের পিছনে লেগেছে, ক্ষমতা থাকলে উনি নেতাদের বাঁচিয়ে নিন ।"

পাশাপাশি রাজ্যপালের বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যপাল যথার্থই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং সংবিধান মেনেই কথা বলেছেন ৷ তিনি কোনও ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করছেন না ।"

পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বিজেপি ইতিমধ্যে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে । বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনওরকম ফাঁকফোকর আর রাখতে চাইছে না । তাই আগে ভাগেই প্রস্তুতি সভা সেরে ফেলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ।

আরও পড়ুন : Medinipur Gunfire : দু'ঘণ্টার মধ্যে মূল দুষ্কৃতী গ্রেফতার, 50 হাজার টাকা সাহসিকতার পুরস্কার কোতোয়ালি থানাকে

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.