বেলদা, 10 এপ্রিল: কোরোনা আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বৃদ্ধের মৃত্যু ওড়িশায় ৷ এরপর পুলিশের তদারকিতে এক ডাক্তার ও নার্স সহ 40 জন কোয়ারান্টাইনে থাকা রোগীদের ছুটি দিয়ে সিল করা হল নার্সিংহোম । যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর স্বাস্থ্যদপ্তর উদাসীন এই ব্যাপারে । তিনদিন ধরে নেই কোনও তথ্য ।
ওড়িশায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে কোরোনা ধরা পড়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের একজনের । বেলদা থানার একটি গ্রামের 70 বছরের বৃদ্ধকে কোরোনা পজেিটিভ বলে জানিয়ে দেয় ওড়িশা সরকার । তাঁরা তাঁদের কোরোনা সংক্রান্ত নিজস্ব পোর্টালে জানিয়ে দেয় যে গত 7 এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতাল থেকে অসুস্থ অবস্থায় 70 বছরের এক বৃদ্ধকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ওড়িশার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে । আসার পথে একটি দোকানে চা খান তাঁরা । 8 তারিখ বুধবার বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভরতি করলে কর্তৃপক্ষ তাঁকে আইসোলশন ওয়ার্ডে দেয় ।
গতকাল তাঁর নমুনা পরীক্ষায় পজ়িটিভ রেজাল্ট আসে । এরপর থেকে ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এর পাশাপাশি ওড়িশা সরকার ওই চা দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের কোয়ারান্টাইনে নেয় ।
এই ঘটনায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ স্বাস্থ্য কর্মীদের বেলদা থানা থেকে বৃদ্ধের বাড়িতে নিয়ে যায় । বৃদ্ধের পরিবারের সমস্ত সদস্য, বাড়ির পরিচারিকা ও পরিবারের প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন যে ডাক্তার, যে অ্যাম্বুলেন্সের ভুবনেশ্বর গিয়েছেন তাঁরা সেই চালককে নিয়ে আসা হয় কোয়ারান্টাইনে । পুলিশ এবং এলাকার স্বাস্থ্য দপ্তর আধিকারিক কর্মীরা গিয়ে কার কার সঙ্গে মেলামেশা করেছেন সে বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করে ।
যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরে স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে নারাজ । জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানান এই ধরনের কোনও খবর তাঁর কাছে নেই ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো 3 জন,মৃত 1। ইতিপূর্বে দাসপুর এলাকায় 3 জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেলেঘাটা । প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এই বৃদ্ধ কোরোনা আক্রান্ত হলেন । খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় বৃদ্ধের এক নাতি বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁর থেকে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান । অন্যদিকে, পুর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিয়ে বাড়ি থেকে কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছেন কি না তাও খোঁজ খবর করা হচ্ছে ।