চন্দ্রকোনা, 28 নভেম্বর: বেসরকারি স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে পুকুরে থেকে উদ্ধার নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রের দেহ। মৃত পডুয়ার নাম শুভজিৎ দত্ত ৷ প্রাথমিক অনুমান জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার ৷ তবে পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে। সোমবার সকালে ছাত্র মৃ্ত্য়ুর ঘটনা চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার রানিগঞ্জ এলাকায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নজরদারির অভাব ও গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব স্থানীয় বাসিন্দা থেকে মৃত ছাত্রের পরিবার।
মৃত শুভজিৎ স্থানীয় রামজীবনপুর পৌরসভার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া ছিল । মৃত ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, শুভজিৎ সাঁতার জানত, সে গ্রামের ছেলে । তাহলে স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে পুকুরের জলে ডুবে তার কীভাবে মৃত্যু হল । অভিযোগ, স্কুলে ছাত্রাবাসে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও নিরাপত্তার কোনও বন্দোবস্ত নেই । স্কুল ক্যাম্পাস থেকে কী করে একজন ছাত্র স্কুলের বাইরে চলে গেল এবং তা কীভাবে কারও নজরে এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিসিটিভি না-থাকা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷
এই প্রসঙ্গে মৃত পড়ুয়ার কাকিমা পম্পা দত্ত বলেন, "শুভজিৎ সাঁতার জানত । তাছাড়া স্কুলের সামনে কোনও পুকুর নেই । পুরোটাই স্কুলের গাফিলতি । পুলিশ থানায় দেহ নিয়ে চলে যাওয়ার পর ঘটনাটি তাদের জানানো হয়েছে ৷ আমরা একদম নিশ্চিত পুরোটাই পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে । আমাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে ।"
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রধান গৌতম দাসের দাবি, বিষয়টি কিভাবে ঘটল তিনি জানেন না । তিনি এও বলেন, "সব ছাত্র কে নজরে রাখা সম্ভব নয় ।" তবে স্কুলে যে সিসিটিভি নেই, তা তিনি স্বীকার করে নেন । স্কুলের বিরুদ্ধে নজরদারিও গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা অবশ্য এড়িয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: