মেদিনীপুর, 12 এপ্রিল : 'বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও' অভিযানে কর্মসূচিতে সংঘর্ষে জড়াল অখিল ভারতীয় বিদ্য়ার্থী পরিষদ (এবিভিপি) এবং তৃণমূল ছাত্র সংগঠন ৷ যার জেরে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন এবিভিপি সমমর্থকরা । পালটা অভিযোগ করেছে তৃণমূলও ৷ যদিও এই ঘটনার পর আসরে নামে বিরাট পুলিশ বাহিনী । ঘটনায় 12 জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ফের রক্তাক্ত হল শিক্ষাঙ্গণ। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন এবিভিপির 18 জন সদস্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে । মূলত এইদিন গোটা রাজ্যের সঙ্গে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, জাতীয় শিক্ষানীতি চালু-সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন। এদিন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযানের ডাক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট ঘিরে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন সংগঠনের সদস্যরা।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, এদিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযান শুরুর গোড়া থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবিভিপির সদস্যরা। সেই সময় তাদের কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনেই এক দফা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা।অন্যদিকে, এবিভিপি কর্মীরা পালটা অভিযোগ করেন, তাঁদের রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বের করে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংগঠনের সদস্যরা।
পড়ুয়াদের দাবি, এরপরই অবস্থা ভয়ংকর আকার ধারণ করে। অভিযোগ, চ্যালা কাঠ, বাঁশ, রড নিয়ে এবিভিপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর ৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চার এবিভিপি সদস্যকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় দু'পক্ষের 12 জনকে আটক করা হয়েছে ৷ যদিও এই হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সুরজিৎ দাস বলেন আমরা কোনও হামলাতে বিশ্বাসী নই ,আমরা ভালবাসায় বিশ্বাসী।ওরা নিজেরাই এসে গন্ডগোল করেছে পতাকা ছিঁড়েছে, নিজেরা নিজের মধ্যে মারপিট লেগে গেছে । এই ঘটনার সঙ্গে আমাদেরকেও জড়িত নয়। এইদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে বিজেপি নেতাদের ঘেরাওয়ের নির্দেশ অভিষেকের
অন্যদিকে, এবিভিপির রাজ্য সম্পাদিকা শীল্পা মণ্ডল বলেন, "আমরা চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু ওরা এসেই মারধর শুরু করে। বাঁশ,লাঠি যা পেরেছে তা দিয়েই মারধর করেছে। মেয়েদের গায়েও হাত তুলেছে। দিদির ভাইয়েরা আমাদের মারধর করেছে, আমরা এর বিচার চাই।"