ETV Bharat / state

Kulti Murder : সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন, কুলটি শুটআউটে স্বীকার স্ত্রীর - কুলটি খুনে আত্মসমর্পণ স্ত্রীর

কুলটিতে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল মৃতের স্ত্রী ৷ টানা পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে স্বামীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর কথা স্বীকার করে মৃত পরেশের স্ত্রী মঙ্গলি ৷ কীভাবে খুন করানো হল ?

Kulti Murder
কীভাবে খুন করা হল তা জানাল পুলিশ
author img

By

Published : Jan 21, 2022, 4:41 PM IST

কুলটি, 21 জানুয়ারি : 48 ঘণ্টার মধ্যে কুলটির খুনের ঘটনার কিনারা করল কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ । মেয়ের বন্ধুকে ব্যবহার করে, স্ত্রী মঙ্গলি মেঝানই বিহারের মুঙ্গেরের শার্প শুটারকে ভাড়া করে আনিয়ে খুন করিয়েছে কুলটির তুলসি হিড়ের বাসিন্দা পরেশ মান্ডিকে । পুলিশি তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনায় মঙ্গলি মেঝান-সহ সন্দীপ নোনিয়া, বিশাল পাসওয়ান, বিক্কি নোনিয়া নামে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মুঙ্গেরের বাসিন্দা সুপারি কিলার হিমাংশু পাসওয়ানের এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ ।

19 জানুয়ারি কুলটির তুলসি হিড়ের বাসিন্দা পরেশ মান্ডি খুন হয় । পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তিনটি গুলি করে তাঁকে খুন করা হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে পরেশের কোনও শত্রু নেই । তাহলে এই খুনের পিছনে কে ?

ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহ হওয়ায় প্রথম থেকেই পরেশের স্ত্রী মঙ্গলি মেঝানকে বারবার জেরা করে পুলিশ । জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অবশেষে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করানোর কথা স্বীকার করে মঙ্গলি ।
আরও পড়ুন : Kulti Murder : কুলটিতে শুটআউট, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদি জানান, মঙ্গলি মেঝানের মেয়ের বন্ধু বিক্কি নোনিয়াকে জানানো হয় সরিয়ে ফেলতে হবে পরেশকে । বিক্কি সেই মতো সন্দীপ ও বিশাল পাসওয়ানকে জানায় । বিশালেরই পরিচিত সুপারি কিলার বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা হিমাংশু পাসওয়ান ছিল শার্প শুটার । আড়াই লাখ টাকার রফায় সে এই কাজ করতে রাজি হয় ৷

কীভাবে খুন করা হল তা জানাল পুলিশ

সেই মতো বিহার থেকে আসার পর হিমাংশুকে সন্দীপ নোনিয়ার বাড়িতে রাখা হয় । কয়েকদিন ধরে রেইকি করা হয় । প্রতিদিন ওই দোকানে বসে থাকত পরেশ । মঙ্গলবার বিকালে প্রথমবার পরেশকে খুনের চেষ্টা করে হিমাংশু ৷ কিন্তু সেদিন স্থানীয় খেলার মাঠে ভিড় ছিল বলে তা সম্ভব হয়নি । বুধবার সকালে ফাঁকা থাকায় খুব সহজেই পরেশকে গুলি করে খুন করে হিমাংশু । সঙ্গী ছিল সন্দীপ । তারা টোটোতে যায় । আর ফিরে আসার পথে বিশাল দু'জনকে নিজের বাইকে করে নিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে । পরে হিমাংশু পালিয়ে যায় বিহারে । এরপরই পুলিশ মৃত পরেশের স্ত্রী মঙ্গলি-সহ বিক্কি, সন্দীপ ও বিশালকে গ্রেফতার করে ৷

ধৃতদের আসানসোল মহকুমা আদালতে ধৃতদের পাঠানোর পর তাদের রিমান্ডে নিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । জানা গিয়েছে, পরেশ মান্ডি ইসিএলের কর্মী ছিল । দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত কাজে যাওয়ার কারণে চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয় । দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে থাকত না পরেশ । ফলে স্ত্রী ও মেয়েদের বঞ্চিত করায় প্রতিহিংসা ছিলই । একদিকে ইসিএলে স্বামীর চাকরি পাওয়ার আশা, আর অন্যদিকে স্বামীর সম্পত্তি হাতানোর জন্যই স্ত্রী মঙ্গলি স্বামীকে খুন করিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । যদিও এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কী না তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : Burnpur Murder : বার্নপুরে জনবহুল এলাকায় খুন, থানায় আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের

কুলটি, 21 জানুয়ারি : 48 ঘণ্টার মধ্যে কুলটির খুনের ঘটনার কিনারা করল কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ । মেয়ের বন্ধুকে ব্যবহার করে, স্ত্রী মঙ্গলি মেঝানই বিহারের মুঙ্গেরের শার্প শুটারকে ভাড়া করে আনিয়ে খুন করিয়েছে কুলটির তুলসি হিড়ের বাসিন্দা পরেশ মান্ডিকে । পুলিশি তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

এই ঘটনায় মঙ্গলি মেঝান-সহ সন্দীপ নোনিয়া, বিশাল পাসওয়ান, বিক্কি নোনিয়া নামে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মুঙ্গেরের বাসিন্দা সুপারি কিলার হিমাংশু পাসওয়ানের এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ ।

19 জানুয়ারি কুলটির তুলসি হিড়ের বাসিন্দা পরেশ মান্ডি খুন হয় । পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তিনটি গুলি করে তাঁকে খুন করা হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে পরেশের কোনও শত্রু নেই । তাহলে এই খুনের পিছনে কে ?

ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহ হওয়ায় প্রথম থেকেই পরেশের স্ত্রী মঙ্গলি মেঝানকে বারবার জেরা করে পুলিশ । জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অবশেষে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করানোর কথা স্বীকার করে মঙ্গলি ।
আরও পড়ুন : Kulti Murder : কুলটিতে শুটআউট, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদি জানান, মঙ্গলি মেঝানের মেয়ের বন্ধু বিক্কি নোনিয়াকে জানানো হয় সরিয়ে ফেলতে হবে পরেশকে । বিক্কি সেই মতো সন্দীপ ও বিশাল পাসওয়ানকে জানায় । বিশালেরই পরিচিত সুপারি কিলার বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা হিমাংশু পাসওয়ান ছিল শার্প শুটার । আড়াই লাখ টাকার রফায় সে এই কাজ করতে রাজি হয় ৷

কীভাবে খুন করা হল তা জানাল পুলিশ

সেই মতো বিহার থেকে আসার পর হিমাংশুকে সন্দীপ নোনিয়ার বাড়িতে রাখা হয় । কয়েকদিন ধরে রেইকি করা হয় । প্রতিদিন ওই দোকানে বসে থাকত পরেশ । মঙ্গলবার বিকালে প্রথমবার পরেশকে খুনের চেষ্টা করে হিমাংশু ৷ কিন্তু সেদিন স্থানীয় খেলার মাঠে ভিড় ছিল বলে তা সম্ভব হয়নি । বুধবার সকালে ফাঁকা থাকায় খুব সহজেই পরেশকে গুলি করে খুন করে হিমাংশু । সঙ্গী ছিল সন্দীপ । তারা টোটোতে যায় । আর ফিরে আসার পথে বিশাল দু'জনকে নিজের বাইকে করে নিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে । পরে হিমাংশু পালিয়ে যায় বিহারে । এরপরই পুলিশ মৃত পরেশের স্ত্রী মঙ্গলি-সহ বিক্কি, সন্দীপ ও বিশালকে গ্রেফতার করে ৷

ধৃতদের আসানসোল মহকুমা আদালতে ধৃতদের পাঠানোর পর তাদের রিমান্ডে নিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । জানা গিয়েছে, পরেশ মান্ডি ইসিএলের কর্মী ছিল । দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত কাজে যাওয়ার কারণে চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয় । দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে থাকত না পরেশ । ফলে স্ত্রী ও মেয়েদের বঞ্চিত করায় প্রতিহিংসা ছিলই । একদিকে ইসিএলে স্বামীর চাকরি পাওয়ার আশা, আর অন্যদিকে স্বামীর সম্পত্তি হাতানোর জন্যই স্ত্রী মঙ্গলি স্বামীকে খুন করিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । যদিও এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কী না তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : Burnpur Murder : বার্নপুরে জনবহুল এলাকায় খুন, থানায় আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.