দুর্গাপুর, 6 সেপ্টেম্বর : কাঁকসায় ব্যাঙ্ক আধিকারিকের হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য ৷ অভিযুক্ত বিপ্লব পরিদার দাবি ছিল, স্ত্রীর চাহিদা দিনের পর দিন বাড়তে থাকাতেই অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে খুনে করেছেন তিনি ৷ মানতে নারাজ মৃতার বাবা রুদানন্দ বেহেরা ৷ তিনি জানান, দাবি মতো ফ্ল্য়াট কেনার 30 লক্ষ টাকা হাতে না পেয়েই তাঁর মেয়ে ঈপ্সা প্রিয়দর্শিনীকে খুন করেছেন জামাই বিপ্লব পরিদা ৷
আরও পড়ুন : Murder : 'স্ত্রীকে খুন করেছি, আপনারা চলুন', থানায় হাজির ব্যাঙ্ক আধিকারিক
সোমবার কাঁকসা থানা চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রুদানন্দ ৷ তাঁর সঙ্গে আসা আত্মীয় ও পরিচিতরা কোনও ক্রমে সামলানোর চেষ্টা করেন তাঁকে ৷ পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রুদানন্দ জানান, তাঁর মেয়ে-জামাই ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতেন ৷ তাই বেশ কিছু দিন ধরেই নতুন একটি ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছিলেন জামাই বিপ্লব ৷ এর জন্য স্ত্রী ঈপ্সাকে তাঁর বাবার কাছ থেকে 30 লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলেন তিনি ৷ কিন্তু ঈপ্সা বেঁকে বসাতেই শুরু হয় অশান্তি ৷ অন্তত এমনটাই দাবি বিপ্লবের শ্বশুরের ৷
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন বিপ্লব পরিদা ৷ পুলিশকে তিনি জানান, পোষ্য কুকুরে বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি ৷ এরপর পুলিশ বিপ্লবের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ঈপ্সার দেহ উদ্ধার করে ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ খবর পাঠানো হয় ওড়িশায় ঈপ্সার বাপের বাড়িতে ৷ সোমবার সকালেই কাঁকসায় এসে পৌঁছন ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরা বিপ্লবের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : দেখে ভালো মনে হত অমিতকে, যা ঘটল দুঃখজনক ; বলছেন প্রতিবেশীরা
অন্যদিকে বিপ্লবের দাবি, ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করেন তিনি ৷ কারণ, রোজের অশান্তি আর সহ্য হচ্ছিল না তাঁর ৷ বিপ্লবের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী অযথা খরচ করতেন ৷ সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হত তাঁকে ৷ এই কারণেই তাঁদের মধ্যে রোজ ঝগড়া হত বলে জানিয়েছেন বিপ্লব ৷ রবিবার রাতে তা চরমে ওঠে ৷ তখনই স্ত্রীকে খুন করে বসেন বলে পুলিশকে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন বিপ্লব পরিদা ৷