আসানসোল, 25 এপ্রিল: 'ভোট এলেই অশান্তি পাকায় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ।' নাম না-করে এভাবেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে মঙ্গলবার একহাত নিলেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ।
ঈদ উপলক্ষে আসানসোলে এসেছেন শত্রুঘ্ন । সোমবার রাতে রাতে একটি ঈদ মিলন উৎসবেও অংশ নেন তিনি ৷ পাশাপাশি, মঙ্গলবার কুলটিতে খ্রিস্টান কমিউনিটির একটি সমাধিক্ষেত্রের উদ্বোধনও করেন আসানসোলের সাংসদ । এরই মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিহারিবাবু বলেন "দেশে রামনবমী কিংবা বিভিন্ন উৎসবের সময়ে অশান্তি সৃষ্টি করে কিছু মানুষ এবং বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল । তারা চায় মানুষের মনকে অন্যদিকে চালিত করতে, যাতে মূল বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি সরে যায় ৷ ভোট এলে এই বিষয়গুলি বেশি করে নজরে পড়ে ৷"
শত্রুঘ্ন সিনহার কথায়, এখন যেমন কর্ণাটকে ভোটের মরশুম । কিছু লোক মাটি হারানোর ভয় পেয়ে ভাবছে যদি কোথাও কিছু উত্তেজনা ছড়ানো যায়, যদি দুই গোষ্ঠী, পরিবারের মধ্যে অশান্তি ঢোকানো যায়, তাহলে সমাজকে ভাগ করা যাবে । এদিন এই তৃণমূল সাংসদ জোর গলায় বলেন "আমি কখনও সমাজের বিভাজন চাইনি । আর কখনও সমাজের বিভাজন হতে দেব না ।" সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি জানান, সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে । দেশের উন্নতি হবে ।
আসানসোলের উদাহরণ টেনে তিনি আরও জানান, আসানসোলে ঢোকার মুখে লেখা ছিল, দ্য সিটি অফ ব্রাদারহুড । ভ্রাতৃত্বের শহর । গোটা দেশের এটা দেখে শেখা উচিত, আসানসোলে সবাই কেমন মিলে মিশে থাকেন । প্রসঙ্গত, রামনবমীর উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সম্প্রতি অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছিল । একদিকে, হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়ায় যেমন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, তেমনি বিহারের বেশ কিছু অংশ থেকে অশান্তির খবর এসেছিল। এই প্রতিটা ক্ষেত্রেই পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে অশান্তি থামাতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, যাতে গুজব না ছড়ায় । এবার আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা নাম না করেই দেশজুড়ে এই অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির মূলে বিজেপিকেই ইঙ্গিত করলেন।