ETV Bharat / state

করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে দাবি 15 হাজার টাকা !

author img

By

Published : May 12, 2021, 6:51 PM IST

দুর্গাপুরের বীরভানপুরের শ্মশানে করোনায় মৃতদেহ সৎকারের জন্য চাওয়া হচ্ছে 15 থেকে 20 হাজার টাকা ৷

dur
dur

দুর্গাপুর, 12 মে : মৃতদেহ দাহ করতে 15 হাজার টাকা ৷ প্লাস্টিক সরিয়ে প্রিয়জনের মুখ শেষবারের মতো দেখতে চাইলে আরও 2 হাজার টাকা ৷ দূর থেকে মুখাগ্নি করলে পাঁচ হাজার টাকা যোগ হয়ে মোট 20 হাজার ৷ দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকার নিয়ে এভাবেই চলছে দরদাম ৷ প্রিয়জন হারানোর শোকে কাতর পরিবার পরিজনদের কাছে যা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ৷

দুর্গাপুরের বীরভানপুরে রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের একমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান ৷ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে জুলুম চালাচ্ছে একদল ডোম ৷ অভিযোগ, করোনায় মৃত শুনলেই সৎকারের জন্য দাবি করা হচ্ছে কমপক্ষে 15 হাজার টাকা ৷ মৃতদেহের মুখ দেখাতে হলে 15 হাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও 2 হাজার অর্থাৎ 17 হাজার টাকা । দূর থেকে মুখাগ্নি করলে তা বেড়ে হচ্ছে 20 হাজার ৷ এভাবেই রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে চলছে দরদাম ৷ বিষয়টি সামনে আনেন দুর্গাপুর এমএমসি'র বাসিন্দা রঞ্জন মিত্র ৷ করোনায় মৃত দাদার দেহ সৎকার করতে গিয়ে এই ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি ৷ বিষয়টি নিয়ে আজ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি ।

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত প্রধান পুরোহিত, জহুরাচণ্ডী মন্দিরে বন্ধ দরজার এপার থেকে পুজো ভক্তদের

রঞ্জন মিত্র নামে ওই ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাঁর দাদা করোনা আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান । সরকারি নিয়মানুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বীরভানপুর শ্মশানে । মৃতদেহ দাহ করার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানায়, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দেহ দাহ করার জন্য 15 হাজার টাকা দিতে হবে । মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি । কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও গুরুত্ব দেয়নি ডোমেরা । শেষমেশ 4 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ টাকা দেওয়ার পর দেহ চুল্লিতে ঢোকে ৷ আজ বেলা 1টা নাগাদ দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেয় ওই পরিবার । অভিযোগ করা হয় দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকেও ।

করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারে দরদামের অভিযোগ

দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজী জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি । স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শিপূল সাহা বলেন, "আমি এই ঘটনার কথা শুনেছি । কারা এরা ? থানায় জানিয়েছি । কিন্ত এদের চোখারাঙানি আর ঔদ্ধত্য সহ্য করতে হচ্ছে কোভিডে প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলিকে । আরও আশ্চর্যের বিষয় যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে তাদের দেহ দাহ করতে গেলেও টাকা চাওয়া হচ্ছে । কয়েকদিন আগে আমার পূূর্বাচল আবাসনের বাসিন্দা এক 36 বছরের যুবকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দাহ করতে গেলে 10 হাজার টাকা চাওয়া হয় ৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন অব্যবস্থা চলছে ।"

দুর্গাপুর, 12 মে : মৃতদেহ দাহ করতে 15 হাজার টাকা ৷ প্লাস্টিক সরিয়ে প্রিয়জনের মুখ শেষবারের মতো দেখতে চাইলে আরও 2 হাজার টাকা ৷ দূর থেকে মুখাগ্নি করলে পাঁচ হাজার টাকা যোগ হয়ে মোট 20 হাজার ৷ দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকার নিয়ে এভাবেই চলছে দরদাম ৷ প্রিয়জন হারানোর শোকে কাতর পরিবার পরিজনদের কাছে যা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ৷

দুর্গাপুরের বীরভানপুরে রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের একমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান ৷ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে জুলুম চালাচ্ছে একদল ডোম ৷ অভিযোগ, করোনায় মৃত শুনলেই সৎকারের জন্য দাবি করা হচ্ছে কমপক্ষে 15 হাজার টাকা ৷ মৃতদেহের মুখ দেখাতে হলে 15 হাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও 2 হাজার অর্থাৎ 17 হাজার টাকা । দূর থেকে মুখাগ্নি করলে তা বেড়ে হচ্ছে 20 হাজার ৷ এভাবেই রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে চলছে দরদাম ৷ বিষয়টি সামনে আনেন দুর্গাপুর এমএমসি'র বাসিন্দা রঞ্জন মিত্র ৷ করোনায় মৃত দাদার দেহ সৎকার করতে গিয়ে এই ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি ৷ বিষয়টি নিয়ে আজ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি ।

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত প্রধান পুরোহিত, জহুরাচণ্ডী মন্দিরে বন্ধ দরজার এপার থেকে পুজো ভক্তদের

রঞ্জন মিত্র নামে ওই ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাঁর দাদা করোনা আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান । সরকারি নিয়মানুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বীরভানপুর শ্মশানে । মৃতদেহ দাহ করার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানায়, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দেহ দাহ করার জন্য 15 হাজার টাকা দিতে হবে । মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি । কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও গুরুত্ব দেয়নি ডোমেরা । শেষমেশ 4 হাজার টাকায় রফা হয় ৷ টাকা দেওয়ার পর দেহ চুল্লিতে ঢোকে ৷ আজ বেলা 1টা নাগাদ দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেয় ওই পরিবার । অভিযোগ করা হয় দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকেও ।

করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারে দরদামের অভিযোগ

দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজী জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি । স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শিপূল সাহা বলেন, "আমি এই ঘটনার কথা শুনেছি । কারা এরা ? থানায় জানিয়েছি । কিন্ত এদের চোখারাঙানি আর ঔদ্ধত্য সহ্য করতে হচ্ছে কোভিডে প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলিকে । আরও আশ্চর্যের বিষয় যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে তাদের দেহ দাহ করতে গেলেও টাকা চাওয়া হচ্ছে । কয়েকদিন আগে আমার পূূর্বাচল আবাসনের বাসিন্দা এক 36 বছরের যুবকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দাহ করতে গেলে 10 হাজার টাকা চাওয়া হয় ৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন অব্যবস্থা চলছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.