দুর্গাপুর, 4 জানুয়ারি : দুর্গাপুরে ইন্ডিয়ান অয়েলের বটলিং প্ল্যান্ট । এই প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস রিফিল করে সরবরাহ করা হয় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় । এখানে যে 34 জন নিরাপত্তরক্ষীরা রয়েছে তারা অন্য একটি সংস্থার ঠিকা কর্মী । সেই সংস্থার সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েলের চুক্তি রয়েছে । সেই চুক্তি অনুসারে ওই কর্মীরা বটলিং প্ল্যান্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন । কিন্তু 29 ডিসেম্বর তাদের 1 জানুয়ারি থেকে কাজে না আসতে বলা হয় । IOC বা ইন্ডিয়ান অয়েল কম্পানির নিয়মে এখন থেকে বটলিং প্ল্যান্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানরা । কাজ হারিয়ে ওই 34 জন বিক্ষোভ শুরু করে । এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহে । ফলে আগামীদিনে বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর ও কলকাতা সহ রাজ্যের বেশকিছু এলাকায় ইন্ডেন গ্যাস গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে । প্রভাব পড়বে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একাংশেও ।
কাজ হারানো নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযোগ, বটলিং প্ল্যান্টের জন্মলগ্ন থেকে তারা এখানে কর্মরত । তাদের প্রশ্ন, এই বয়সে তারা কাজ হারিয়ে কোথায় যাবে ? INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পারিয়াল জানান, তিনি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন । তাঁর মতে IOC-র নিয়ম যদি মানতেই হয় তবে, ওই নিরাপত্তাকর্মীদের সংস্থায় অন্য কোনও পদে নেওয়া যেতে পারে ।
28 ডিসেম্বর থেকে দুর্গাপুরের এই প্ল্যান্টের সামনের রাস্তায় সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক । বিক্ষোভের জেরে প্ল্যান্টে গ্যাস রিফিলিং বন্ধ রয়েছে । এবিষয়ে পুলিশ প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলেও লাভ হয়নি । কারখানার মুখ্য আধিকারিক শশাঙ্ক মহাপাত্রের কথায়, "IOC -র যা গাইডলাইন আছে, তা আমি মানতে বাধ্য । তার বাইরে আমার কিছু করার নেই ।" সব মিলিয়ে আপাতত অনিশ্চিত এই প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস সরবরাহের ভবিষ্যত ।