দুর্গাপুর, 14 অক্টোবর: মহালয়ার পুণ্যলগ্নে কাঁকসার শিবপুরের অজয়ের জলে তর্পণে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের নাম শ্রীধর চট্টোপাধ্যায় (65)। কাঁকসার বামুনাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ছয় বন্ধুর সঙ্গে শনিবার সকালে শিবপুরের অজয় নদে তর্পণের উদ্দেশ্যে আসেন তিনি। অজয় নদে নেমেই তলিয়ে যান ওই প্রৌঢ়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের পর গভীর গর্তে পরিণত হয়েছে শিবপুরের অজয়ের ঘাট। গভীর গর্ত বুঝতে না-পেরেই তলিয়ে যান ওই প্রৌঢ় । খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয় প্রৌঢ়কে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে এই ঘাটে স্নানে নেমে একাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অজয় নদে তর্পণ করতে যাওয়া সুধীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা অজয়ের অন্যদিকে ছিলাম। 6 জনকে নদের ওইদিকে স্নান করতে যেতে দেখলাম। তারা সবাই তর্পণ করতে এসেছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে অনেকেই দৌড়ে গেলেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি শ্রীধর চট্টোপাধ্যায় নামের ওই বয়স্ক ব্যক্তিকে।" ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তপন কুমার সাহা বলেন, "আমরা বসেছিলাম শ্রীধরবাবুর সেই সময় জলের সাঁতার কাটতে নামলেন। তারপরেই তিনি তলিয়ে গেলেন। আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না।" এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কাঁকসার শিবপুর এলাকায়। তবে অজয় নদের এই ঘাটে নজরদারি বাড়ানো হোক এমন দাবিও তুলছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, পাণ্ডবেশ্বরের অজয় নদ থেকে গতকাল, শুক্রবার 12 বছরের নাবালকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। পাণ্ডবেশ্বরের এবি পিট এলাকায় মামার বাড়িতে থাকত ওই নাবালক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মামার বাড়ি থেকেই এখানকার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত সে। মৃত নাবালকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ঝালার এলাকায়। ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহালয়া শুভ না অশুভ! তর্ক ছেড়ে জানুন আসল তথ্য