কুলটি, 5 অগস্ট : নিষিদ্ধপল্লিতে নাবালিকা আনার খবর ছিল গত কয়েকদিন ধরেই ৷ অবশেষে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লিতে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের পক্ষ থেকে । অভিযান দলে উপস্থিত ছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী প্রমুখরা ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন খবর আসছিল যে লছিপুর যৌনপল্লিতে প্রচুর নাবালিকাকে আনা হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা এমনকি অন্য রাজ্য থেকেও এই নাবালিকাদের আনা হয়েছিল বলেও খবর পাওয়া যায় । ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বিষয়টি জানতে পেয়ে নড়েচড়ে বসে । গতকাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও জেলা প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয় । এরপর গতরাতে আচমকা বড়সড় অভিযান চালানো হয় । মধ্যরাত পর্যন্ত এই অভিযান চলে ৷
আরও পড়ুন: অণ্ডালে অনবরত বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ল ইসিএলের পরিত্যক্ত বাড়ি
এর আগে শিলিগুড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছিল । কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লি থেকে অন্তত 30 থেকে 35 জন নাবালিকাকে উদ্ধার কর হয়েছে । অনন্যা চক্রবর্তী জানান, আপাতত ওই নাবালিকাদের হোমে পাঠানো হবে । জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান, নাবালিকাদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো হচ্ছিল ৷ সেই বিষয়টি জানতে পেরেই অভিযান চালানো হয় । তবে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে রাত 9 টার পর কেন যৌনপল্লি খোলা তা নিয়েও জেলাশাসক খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন । পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানান, নাবালিকাদের দিয়ে যৌন ব্যবসা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না । আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।