দুর্গাপুর, 4 জানুয়ারি: দুর্গাপুরে জামাকাপড়ের ট্যাঙ্ক থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল (Young Woman body recovered from trunk) ৷ সেই ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ করেছিল তাঁকে খুন করেছে স্বামীই ৷ এবার আদালত থেকে বেরিয়ে সে কথা স্বীকার করে নিল সুভাষ মণ্ডল ৷ সে বলে, "স্ত্রী আমাকে বারবার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দিচ্ছিল ৷ তাই ওখে গাঁইতি দিয়ে খুন করেছি (Man Kills Wife) ৷"
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দুর্গাপুর থানার পাওয়ার হাউস এলাকায় বাড়িতে থাকা জামাকাপড়ের ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল রেখা মণ্ডল নামে বছর 26-এর যুবতীর দেহ (Durgapur murder case) । তদন্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় স্বামী সুভাষ মণ্ডলকে । ধৃতকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে বুধবার বেলা 11টায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ।
আদালত থেকে বেরোনোর সময় সুভাষ মণ্ডল বলে, "স্ত্রী আমাকে বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) জন্য চাপ দিচ্ছিল । তাই ওকে মাথায় গাঁইতি দিয়ে মেরে খুন করেছি ।" পুলিশ সুত্রে খবর, সুভাষ রেখার মাথায় গাঁইতি দিয়ে মারার পর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে ট্রাঙ্কের ভিতর মহিলার পচাগলা দেহ, সন্দেহের তালিকায় নিখোঁজ স্বামী
উল্লেখ্য, সুভাষ ও রেখার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা বিবাহ পর্যন্ত গড়ায় । তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে । গত 25 ডিসেম্বর বড়দিনের (Christmas) রাতে পাড়ায় একটা পিকনিকের (Picnic) অনুষ্ঠানে মদ্যপান করে বলে অভিযোগ । এই নিয়ে স্ত্রী রেখার সঙ্গে বচসাও বাঁধে তাঁর । তারপর থেকেই সুভাষ আর রেখাকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি । দু'দিন পরে তাদের ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হতেই ট্রাঙ্কে জামাকাপড়ের নীচ থেকে রেখার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । এরপরে তদন্তে নেমে পুলিশ সুভাষকে গ্রেফতার করে ।