ETV Bharat / state

সীমান্তে দাঁড়িয়ে শতাধিক লরি, কবে গন্তব্যে কেউ জানে না

লকডাউনের মধ্যে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে রয়েছে ভিনরাজ্য থেকে আসা শতাধিক লরি । কবে তারা গন্তব্যে পৌঁছাবে, কেউ জানে না । একদিকে যেমন বিপুল আর্থিক ক্ষতি, তেমনই অসহায়ভাবে সীমান্তের পার্কিংয়ে বসে দিন কাটছে চালক, খালাসিদের ।

loaded lorries stuck at border
সীমান্তে দাঁড়িয়ে শতাধিক লরি
author img

By

Published : Apr 6, 2020, 8:05 PM IST

Updated : Apr 9, 2020, 4:11 PM IST

আসানসোল, 6 এপ্রিল : চলছে লকডাউন । আর এই লকডাউনের মধ্যেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে শতাধিক লরি । ভিনরাজ্য থেকে আসা এই লরিগুলি দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে রয়েছে । কবে তারা গন্তব্যে পৌঁছাবে, জানে না কেউ । একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি, তেমনই অসহায়ভাবে সীমান্তের পার্কিংয়ে বসে দিন কাটছে চালক, খালাসিদের ।

কোরোনার আতঙ্কে সিল করে দেওয়া হয়েছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত । কোনওদিকে মাছি গলার পর্যন্ত সুযোগ নেই । আর এর ফলে দু'দিকের সীমান্তে আটকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ভিনরাজ্যের পণ্য সরবরাহকারী লরিগুলি । প্রায় 15 থেকে 20 দিন ধরে জিনিসে ঠাসা লরিগুলি দাঁড়িয়ে আছে । অনুমতি মিলছে না রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে জিনিস খালি করার । ফলে দিনের পর দিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে লরিগুলি ।

চালকরা জানাচ্ছেন কেউ বরেলি, কেউ দিল্লি বা গুরুগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন, এ'রাজ্যে জিনিস খালি করার ছিল । অনেকে আবার এ'রাজ্যের হলদিয়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে জিনিস নিয়ে ভিনরাজ্যের দিকে পাড়ি দিয়েছিল । আটকে পড়েছে সবাই । দিনের পর দিন ধরে এ'ভাবে লরিগুলি থেমে থাকায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মালিকদের । তেমনি চালকরাও অসহায় ।

সীমান্তে কোনও হোটেল খোলা নেই । কখনও দিনের বেলায় স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠনগুলো খাবার দিচ্ছে । রাতে কিছুই নেই । অভুক্ত হয়েই থাকতে হচ্ছে । কেউ কেউ আবার লরির ভিতরেই রান্নার আয়োজন করেছেন ।

কিন্তু এভাবে কতদিন? এত জিনিস নিয়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকলে নষ্ট হতে পারে চাকা । গাড়ির অন্যান্য কলকব্জাও খারাপ হতে পারে । এছাড়া, এ'ভাবে লরি দাঁড় করিয়ে রাখলে লরির দৈনিক EMI, ট্যাক্সের যে খরচ আসবেই বা করে তা নিয়েও চিন্তায় লরির মালিকরা ।

লকডাউনের জের, সীমান্তে দাঁড়িয়ে শতাধিক লরি

চালকরা চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা মতো লকডাউন উঠে যাক । এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সীমান্তে বসে দুর্দশার সীমা থাকবে না তাঁদের ।

আসানসোল, 6 এপ্রিল : চলছে লকডাউন । আর এই লকডাউনের মধ্যেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে শতাধিক লরি । ভিনরাজ্য থেকে আসা এই লরিগুলি দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে রয়েছে । কবে তারা গন্তব্যে পৌঁছাবে, জানে না কেউ । একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি, তেমনই অসহায়ভাবে সীমান্তের পার্কিংয়ে বসে দিন কাটছে চালক, খালাসিদের ।

কোরোনার আতঙ্কে সিল করে দেওয়া হয়েছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত । কোনওদিকে মাছি গলার পর্যন্ত সুযোগ নেই । আর এর ফলে দু'দিকের সীমান্তে আটকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ভিনরাজ্যের পণ্য সরবরাহকারী লরিগুলি । প্রায় 15 থেকে 20 দিন ধরে জিনিসে ঠাসা লরিগুলি দাঁড়িয়ে আছে । অনুমতি মিলছে না রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে জিনিস খালি করার । ফলে দিনের পর দিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে লরিগুলি ।

চালকরা জানাচ্ছেন কেউ বরেলি, কেউ দিল্লি বা গুরুগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন, এ'রাজ্যে জিনিস খালি করার ছিল । অনেকে আবার এ'রাজ্যের হলদিয়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে জিনিস নিয়ে ভিনরাজ্যের দিকে পাড়ি দিয়েছিল । আটকে পড়েছে সবাই । দিনের পর দিন ধরে এ'ভাবে লরিগুলি থেমে থাকায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মালিকদের । তেমনি চালকরাও অসহায় ।

সীমান্তে কোনও হোটেল খোলা নেই । কখনও দিনের বেলায় স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠনগুলো খাবার দিচ্ছে । রাতে কিছুই নেই । অভুক্ত হয়েই থাকতে হচ্ছে । কেউ কেউ আবার লরির ভিতরেই রান্নার আয়োজন করেছেন ।

কিন্তু এভাবে কতদিন? এত জিনিস নিয়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকলে নষ্ট হতে পারে চাকা । গাড়ির অন্যান্য কলকব্জাও খারাপ হতে পারে । এছাড়া, এ'ভাবে লরি দাঁড় করিয়ে রাখলে লরির দৈনিক EMI, ট্যাক্সের যে খরচ আসবেই বা করে তা নিয়েও চিন্তায় লরির মালিকরা ।

লকডাউনের জের, সীমান্তে দাঁড়িয়ে শতাধিক লরি

চালকরা চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা মতো লকডাউন উঠে যাক । এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সীমান্তে বসে দুর্দশার সীমা থাকবে না তাঁদের ।

Last Updated : Apr 9, 2020, 4:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.