ETV Bharat / state

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে সারমেয়দের খাবার খেয়ে দিন গুজরান ব্যক্তির - কোরোনা আতঙ্ক

কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ৷ প্রায় এক দশক ধরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া ফুটপাতের হোটেলে কাজ করেন ৷ কিন্তু, এমন দিন দেখতে হবে কখনও ভাবেননি কার্তিকবাবু ৷ লকডাউনের এই 19টা দিন তাঁর জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ৷

সারমেয়দের দেওয়া খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ব্যক্তি
সারমেয়দের দেওয়া খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ব্যক্তি
author img

By

Published : Apr 12, 2020, 7:18 PM IST

Updated : Apr 12, 2020, 9:33 PM IST

দুর্গাপুর, 12 এপ্রিল : সুনসান রাস্তা ৷ বন্ধ দোকানপাট ৷ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না কেউ ৷ এই অবস্থায় পথ সারমেয়দের খাবার দিতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার চত্বরে পৌঁছেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ৷ হঠাৎই তাদের কাছে এগিয়ে এলেন এক মধ্যবয়সি লোক ৷ আর্জি একটু খেতে চান ৷ কথা বলে জানা গেল, তিনি ফুটপাতের হোটেলের কর্মী ৷ লকডাউনে বাড়ি ফিরতে পারেননি ৷ মালিকও খোঁজ রাখেননি ৷ তাই সবার থেকে চেয়ে যতটা খাবার পাওয়া যায় ৷ আর যেদিন তাও জোটে না সেদিন রাস্তার কল থেকে জল খেয়েই দিন কাটান ৷ লকডাউনের নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা ETV ভারতকে শোনালেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ৷

বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ৷ প্রায় এক দশক ধরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া ফুটপাতের হোটেলে কাজ করেন ৷ কিন্তু, এমন দিন দেখতে হবে কখনও ভাবেননি কার্তিকবাবু ৷ লকডাউনের এই 19টা দিন তাঁর জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ৷ ফুটপাতের হোটেলের বাইরে একটি তক্তপোশই লকডাউনে তাঁর থাকার জায়গা ৷ লকডাউনের পর থেকে মালিকও খোঁজ নেননি ৷ সঙ্গে খাবার জোগাড়ের টাকাটুকুও নেই ৷ তাই বাধ্য হয়েই সারমেয়দের খাবার দিতে আসা সংস্থাগুলির কাছেই খাবার চেয়ে খান কার্তিকবাবু ৷ যেদিন সেটাও জোটে না, সেদিন নগর নিগমের কল থেকে পেট ভরে জল খেয়ে তক্তপোশের উপর গামছা পেতে শুয়ে পড়েন ৷

কার্তিকবাবু বলেন, "বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেল । বাড়ি ফিরে যেতে পারলাম না । হোটেল বন্ধ । কী আর খাব? রাস্তার কুকুরদের খেতে দিতে আসে সেটাই খাই ৷ আর যদি কেউ কোনওদিন পাঁউরুটি বা খাবার দিয়ে যান সেদিন খেতে পাই । যেদিন কেউ দেয় না ,পায় না । সবচেয়ে কষ্টের কি জানেন, যে হোটেলে কাজ করতাম সেই হোটেলের মালিক একটা দিনও খোঁজ নেননি কেমন আছি? কী খাচ্ছি?" লকডাউনের জেরে দুর্গাপুরের বহু ফুটপাতের এই ছোটো ছোটো হোটেলগুলির কর্মীরা বিপাকে পড়েছেন । অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে যদিও এঁদের হাতে খাবার পৌঁছাচ্ছে ।

দিন কাটছে সারমেয়দের খাবার খেয়ে

ETV ভারতের প্রতিনিধি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে কার্তিকবাবুর বিষয়ে ৷ আজ থেকে তারা কার্তিকবাবুকে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব নেন । কার্তিকবাবু জানেন 30 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা । তাই তিনি বাড়ি যেতে চান । তিনি চাইছেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতে । নির্জন ফুটপাথের তক্তপোশে একা পড়ে থাকতে তাঁর ভালো লাগছে না ।

দুর্গাপুর, 12 এপ্রিল : সুনসান রাস্তা ৷ বন্ধ দোকানপাট ৷ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না কেউ ৷ এই অবস্থায় পথ সারমেয়দের খাবার দিতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার চত্বরে পৌঁছেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ৷ হঠাৎই তাদের কাছে এগিয়ে এলেন এক মধ্যবয়সি লোক ৷ আর্জি একটু খেতে চান ৷ কথা বলে জানা গেল, তিনি ফুটপাতের হোটেলের কর্মী ৷ লকডাউনে বাড়ি ফিরতে পারেননি ৷ মালিকও খোঁজ রাখেননি ৷ তাই সবার থেকে চেয়ে যতটা খাবার পাওয়া যায় ৷ আর যেদিন তাও জোটে না সেদিন রাস্তার কল থেকে জল খেয়েই দিন কাটান ৷ লকডাউনের নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা ETV ভারতকে শোনালেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ৷

বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা কার্তিক চট্টোপাধ্যায় ৷ প্রায় এক দশক ধরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া ফুটপাতের হোটেলে কাজ করেন ৷ কিন্তু, এমন দিন দেখতে হবে কখনও ভাবেননি কার্তিকবাবু ৷ লকডাউনের এই 19টা দিন তাঁর জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ৷ ফুটপাতের হোটেলের বাইরে একটি তক্তপোশই লকডাউনে তাঁর থাকার জায়গা ৷ লকডাউনের পর থেকে মালিকও খোঁজ নেননি ৷ সঙ্গে খাবার জোগাড়ের টাকাটুকুও নেই ৷ তাই বাধ্য হয়েই সারমেয়দের খাবার দিতে আসা সংস্থাগুলির কাছেই খাবার চেয়ে খান কার্তিকবাবু ৷ যেদিন সেটাও জোটে না, সেদিন নগর নিগমের কল থেকে পেট ভরে জল খেয়ে তক্তপোশের উপর গামছা পেতে শুয়ে পড়েন ৷

কার্তিকবাবু বলেন, "বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেল । বাড়ি ফিরে যেতে পারলাম না । হোটেল বন্ধ । কী আর খাব? রাস্তার কুকুরদের খেতে দিতে আসে সেটাই খাই ৷ আর যদি কেউ কোনওদিন পাঁউরুটি বা খাবার দিয়ে যান সেদিন খেতে পাই । যেদিন কেউ দেয় না ,পায় না । সবচেয়ে কষ্টের কি জানেন, যে হোটেলে কাজ করতাম সেই হোটেলের মালিক একটা দিনও খোঁজ নেননি কেমন আছি? কী খাচ্ছি?" লকডাউনের জেরে দুর্গাপুরের বহু ফুটপাতের এই ছোটো ছোটো হোটেলগুলির কর্মীরা বিপাকে পড়েছেন । অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে যদিও এঁদের হাতে খাবার পৌঁছাচ্ছে ।

দিন কাটছে সারমেয়দের খাবার খেয়ে

ETV ভারতের প্রতিনিধি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে কার্তিকবাবুর বিষয়ে ৷ আজ থেকে তারা কার্তিকবাবুকে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব নেন । কার্তিকবাবু জানেন 30 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা । তাই তিনি বাড়ি যেতে চান । তিনি চাইছেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতে । নির্জন ফুটপাথের তক্তপোশে একা পড়ে থাকতে তাঁর ভালো লাগছে না ।

Last Updated : Apr 12, 2020, 9:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.