ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: দুর্গাপুজোর এক পক্ষকাল বাকি থাকতেই শুরু দুর্গতিনাশিনীর আরাধনা

Durga Puja 2023 Starts:দুর্গাপুজোর এক পক্ষকাল এখনও বাকি রয়েছে ৷ তবে রবিবারই পশ্চিম বর্ধমানের সরপিতে শুরু হয়ে গেল দুর্গতিনাশিনীর আরাধনা ৷ কেন ? জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

Durga Puja 2023
দুর্গাপুজো 2023
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 8, 2023, 7:39 PM IST

এক পক্ষকাল বাকি থাকতেই শুরু দুর্গতিনাশিনীর আরাধনা

দুর্গাপুর, 8 অক্টোবর: বাংলার দুর্গাপুজো শুরু হতে বাকি আরও এক পক্ষকাল । তবে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামে বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে গেল দেবী দুর্গার আরাধনা । 400 বছর আগে দুর্গাপুজোর এক পক্ষকাল আগেই রাজা অর্জুন রায়চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো । সেই রীতি মেনে আজও শুক্লপক্ষের কৃষ্ণ নবমী তিথিতেই হয় দেবীর বোধন । তাই পুজোর 14 দিন আগে থেকেই এলাকায় দুর্গাপুজোর আমেজ।

শোনা যায়, রাজা অর্জুন রায়চৌধুরী প্রথমে পাথরের তৈরি দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন । পরে দুই স্ত্রী-সন্তানদের মধ্যে 10 আনা ও 6 আনা ভাগে জমিদারি ভাগ করে দেন । পাশাপাশি একই জায়গায় দু'টি পুজো এখনও চলছে । রবিবার দেবীর বোধন হল । বোধনের পর থেকেই ঘট পুজো শুরু হয় । দুর্গা মূর্তির সামনে এই ঘট দশমীর দিন পর্যন্ত পূজিত হয় । আজ থেকেই মাকে দেওয়া হবে অন্ন ভোগ । বোধনের দিন হয় পাঁঠাবলিও । সন্ধ্যায় হয় আরতি । আজ থেকেই ঘট পুজোর সঙ্গে হবে চণ্ডীপাঠ, দশমীর দিন পর্যন্ত জ্বলবে প্রদীপ । দশমীর দিন মায়ের ভোগে থাকে চ্যাংমাছ।

সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতেও হয় পাঁঠা বলি । রাজা না থাকলেও রয়ে গিয়েছে সেই রীতি আজও। বোধনের দিনেও পরিবারের সকলেই একত্রিত হয়। সকাল থেকেই নতুন জামা কাপড় পরে গ্রামের বাইরের পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় ঘটে করে জল । তারপর সেই ঘট মন্দিরে রেখে শুরু হয় পুজো । দশমীর দিন পর্যন্ত উৎসবের মেজাজ থাকে গ্রামবাসীদের মধ্যে । আগে অষ্টমীর দিন এই দুর্গোৎসবে মহিষ বলি দেওয়া হত । কিন্তু করোনার সময় থেকে সেই প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে আজও দেবীর বোধনের দিন থেকেই এই মন্দিরে প্রতিদিন অন্নভোগ দেওয়া হয় । প্রাচীন রীতিনীতি মেনে আজও ভক্তি ভরে পাশাপাশি দুটি মন্দিরে দুর্গোৎসব হয়ে থাকে । আর দুর্গাপুজোর বহুদিন আগে এই উৎসব শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে গোটা গ্রামের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে পড়েন । আট থেকে আশি - সকলেই প্রায় 20 দিন ধরে চলতে থাকা এই উৎসবকে ঘিরে মাতোয়ারা থাকে ।

আরও পড়ুন: একরত্তিকে বাড়িতে রেখে দুর্গার চিন্ময়ী রূপ দিতে কলকাতা থেকে ভিনজেলায় পাড়ি 'মা'য়ের

অষ্টাদশী গৌরী রায়চৌধুরী জানাল, "15 দিন আগে দুর্গোৎসব শুরু হয়ে যাওয়ার যে কী আনন্দ তা বলা যাবে না । আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই অতিথি আসা শুরু হয়ে গেল আজ থেকে । সমস্ত বয়সের মানুষেরা আজ থেকে আনন্দে মেতে উঠবেন । অন্যদের পুজো যখন সপ্তমী থেকে চার দিন আমরা 15 দিন একটানা এই আনন্দ উপভোগ করি।" একই কথা শোনা গেল রায়চৌধুরী পরিবারের বর্ষিয়ান বংশধর সুখেন রায় চৌধুরীর কন্ঠে।

এক পক্ষকাল বাকি থাকতেই শুরু দুর্গতিনাশিনীর আরাধনা

দুর্গাপুর, 8 অক্টোবর: বাংলার দুর্গাপুজো শুরু হতে বাকি আরও এক পক্ষকাল । তবে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামে বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে গেল দেবী দুর্গার আরাধনা । 400 বছর আগে দুর্গাপুজোর এক পক্ষকাল আগেই রাজা অর্জুন রায়চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো । সেই রীতি মেনে আজও শুক্লপক্ষের কৃষ্ণ নবমী তিথিতেই হয় দেবীর বোধন । তাই পুজোর 14 দিন আগে থেকেই এলাকায় দুর্গাপুজোর আমেজ।

শোনা যায়, রাজা অর্জুন রায়চৌধুরী প্রথমে পাথরের তৈরি দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন । পরে দুই স্ত্রী-সন্তানদের মধ্যে 10 আনা ও 6 আনা ভাগে জমিদারি ভাগ করে দেন । পাশাপাশি একই জায়গায় দু'টি পুজো এখনও চলছে । রবিবার দেবীর বোধন হল । বোধনের পর থেকেই ঘট পুজো শুরু হয় । দুর্গা মূর্তির সামনে এই ঘট দশমীর দিন পর্যন্ত পূজিত হয় । আজ থেকেই মাকে দেওয়া হবে অন্ন ভোগ । বোধনের দিন হয় পাঁঠাবলিও । সন্ধ্যায় হয় আরতি । আজ থেকেই ঘট পুজোর সঙ্গে হবে চণ্ডীপাঠ, দশমীর দিন পর্যন্ত জ্বলবে প্রদীপ । দশমীর দিন মায়ের ভোগে থাকে চ্যাংমাছ।

সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতেও হয় পাঁঠা বলি । রাজা না থাকলেও রয়ে গিয়েছে সেই রীতি আজও। বোধনের দিনেও পরিবারের সকলেই একত্রিত হয়। সকাল থেকেই নতুন জামা কাপড় পরে গ্রামের বাইরের পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় ঘটে করে জল । তারপর সেই ঘট মন্দিরে রেখে শুরু হয় পুজো । দশমীর দিন পর্যন্ত উৎসবের মেজাজ থাকে গ্রামবাসীদের মধ্যে । আগে অষ্টমীর দিন এই দুর্গোৎসবে মহিষ বলি দেওয়া হত । কিন্তু করোনার সময় থেকে সেই প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে আজও দেবীর বোধনের দিন থেকেই এই মন্দিরে প্রতিদিন অন্নভোগ দেওয়া হয় । প্রাচীন রীতিনীতি মেনে আজও ভক্তি ভরে পাশাপাশি দুটি মন্দিরে দুর্গোৎসব হয়ে থাকে । আর দুর্গাপুজোর বহুদিন আগে এই উৎসব শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে গোটা গ্রামের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে পড়েন । আট থেকে আশি - সকলেই প্রায় 20 দিন ধরে চলতে থাকা এই উৎসবকে ঘিরে মাতোয়ারা থাকে ।

আরও পড়ুন: একরত্তিকে বাড়িতে রেখে দুর্গার চিন্ময়ী রূপ দিতে কলকাতা থেকে ভিনজেলায় পাড়ি 'মা'য়ের

অষ্টাদশী গৌরী রায়চৌধুরী জানাল, "15 দিন আগে দুর্গোৎসব শুরু হয়ে যাওয়ার যে কী আনন্দ তা বলা যাবে না । আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই অতিথি আসা শুরু হয়ে গেল আজ থেকে । সমস্ত বয়সের মানুষেরা আজ থেকে আনন্দে মেতে উঠবেন । অন্যদের পুজো যখন সপ্তমী থেকে চার দিন আমরা 15 দিন একটানা এই আনন্দ উপভোগ করি।" একই কথা শোনা গেল রায়চৌধুরী পরিবারের বর্ষিয়ান বংশধর সুখেন রায় চৌধুরীর কন্ঠে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.