ETV Bharat / state

সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা - Paschim Bardhaman

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন প্রান্তিক আলিনগর গ্রাম । 14টি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের বাস এখানে । গ্রামের প্রায় সবকটি পরিবারের অধিকাংশেরই মাটির বাড়ি । বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা ।

Kanksa
সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা
author img

By

Published : Jun 27, 2021, 8:06 PM IST

দুর্গাপুর, 27 জুন: পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন প্রান্তিক আলিনগর গ্রাম । মাত্র 14টি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের বাস এখানে । আদিবাসী গ্রামের প্রায় সবকটি পরিবারের মাটির বাড়ি । বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা । বৃষ্টিপাতের জেরে বাঁশ-কাঠের নড়বড়ে খুঁটির মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ছে । শাল ছাতু বিক্রি করে আতঙ্কের মধ্যেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন মলানদিঘির আলিনগরবাসীরা । গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে একাধিক বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে । খড়ের ছাউনি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল । মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ছে বাঁশ-কাঠের নড়বড়ে খুঁটি । এই গ্রামের প্রায় 14টি পরিবারই রেশন বাদে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত । এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর ।

বাংলা আবাস যোজনায় হোক বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা একাধিকবার আবেদন করেছেন, কিন্তু অধিকাংশ বাসিন্দাদের মেলেনি পাকা ঘর । পাঁচ বছর আগে তিনজন পেয়েছিলেন পাকা বাড়ি ৷ তারপর থেকে আর কারওর ভাগ্যে জোটেনি পাকা বাড়ি । বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশ্য পাকা বাড়ির প্রতিশ্রুতি ঠিকই পেয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা । নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধিরাও আর আসেননি । এমনটাই, অভিযোগ করলেন গ্রামেরই আদিবাসী এক বৃদ্ধা । আতঙ্কের মধ্যে তাঁদের দিনযাপন করতে হয় শিশুসহ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আধপেটা খেয়ে । পেট চালানোর তাগিদে জঙ্গল থেকে বর্ষাকালে শাল ছাতু তুলে আনেন আদিবাসী মহিলারা । সেই শাল ছাতু নিয়ে পায়ে হেঁটে কুড়ি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করার পর যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনওক্রমে দিন গুজরান করতে হয় ।

সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কুলটিতে পুলিশের জালে বিহারের চার কুখ্যাত দুষ্কৃতী

অধিকাংশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাই বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ । ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে । কিন্তু পঞ্চায়েতে গেলে একখানা ত্রিপলও মিলছে না বলেও অভিযোগ । যদিও মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকার উন্নতি হচ্ছে । যেসব মানুষ এখনও ঘর পাননি তাঁদের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থাও চলছে । পঞ্চায়েত থেকে এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে । কোনও মানুষের সমস্যা হলে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে । বাস্তবে কবে মিলবে সরকারি সাহায্য, কবে মিলবে বাংলা আবাস যোজনার পাকা বাড়ি সেদিকেই তাকিয়ে প্রান্তিক গ্রামের আদিবাসী পরিবারগুলি ।

দুর্গাপুর, 27 জুন: পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন প্রান্তিক আলিনগর গ্রাম । মাত্র 14টি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের বাস এখানে । আদিবাসী গ্রামের প্রায় সবকটি পরিবারের মাটির বাড়ি । বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা । বৃষ্টিপাতের জেরে বাঁশ-কাঠের নড়বড়ে খুঁটির মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ছে । শাল ছাতু বিক্রি করে আতঙ্কের মধ্যেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন মলানদিঘির আলিনগরবাসীরা । গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে একাধিক বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে । খড়ের ছাউনি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল । মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ছে বাঁশ-কাঠের নড়বড়ে খুঁটি । এই গ্রামের প্রায় 14টি পরিবারই রেশন বাদে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত । এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর ।

বাংলা আবাস যোজনায় হোক বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা একাধিকবার আবেদন করেছেন, কিন্তু অধিকাংশ বাসিন্দাদের মেলেনি পাকা ঘর । পাঁচ বছর আগে তিনজন পেয়েছিলেন পাকা বাড়ি ৷ তারপর থেকে আর কারওর ভাগ্যে জোটেনি পাকা বাড়ি । বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশ্য পাকা বাড়ির প্রতিশ্রুতি ঠিকই পেয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা । নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধিরাও আর আসেননি । এমনটাই, অভিযোগ করলেন গ্রামেরই আদিবাসী এক বৃদ্ধা । আতঙ্কের মধ্যে তাঁদের দিনযাপন করতে হয় শিশুসহ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আধপেটা খেয়ে । পেট চালানোর তাগিদে জঙ্গল থেকে বর্ষাকালে শাল ছাতু তুলে আনেন আদিবাসী মহিলারা । সেই শাল ছাতু নিয়ে পায়ে হেঁটে কুড়ি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করার পর যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনওক্রমে দিন গুজরান করতে হয় ।

সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কুলটিতে পুলিশের জালে বিহারের চার কুখ্যাত দুষ্কৃতী

অধিকাংশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাই বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ । ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে । কিন্তু পঞ্চায়েতে গেলে একখানা ত্রিপলও মিলছে না বলেও অভিযোগ । যদিও মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকার উন্নতি হচ্ছে । যেসব মানুষ এখনও ঘর পাননি তাঁদের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থাও চলছে । পঞ্চায়েত থেকে এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে । কোনও মানুষের সমস্যা হলে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে । বাস্তবে কবে মিলবে সরকারি সাহায্য, কবে মিলবে বাংলা আবাস যোজনার পাকা বাড়ি সেদিকেই তাকিয়ে প্রান্তিক গ্রামের আদিবাসী পরিবারগুলি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.