দুর্গাপুর, 30 মার্চ: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত লকডাউনের আজ ষষ্ঠ দিন । দুর্গাপুরের গান্ধি মোড় সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে দেখা গেল রোগীদের ভিড় । মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব । জমায়েত করে হাসপাতালের বাইরে বসে আছেন রোগী এবং পরিবার । আর ঠিক ততটাই এই বিষয়ে উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । তাই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য যথেষ্ঠ ভিড় । থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে মূল গেটে । ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ না দেখালে । কিন্তু হাসপাতালের বাইরে ?
আউটডোরে ডাক্তারদেরকে চিকিৎসা করাতে এসে রোগী ও তাঁদের পরিবার গা -ঘেষাঘেষি করে বসে আছেন চেয়ারে । নেই কোনও সামাজিক দূরত্ব ।
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে এই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারকে এবং হাসপাতালের ভেতরে ভরতি থাকা রোগীদের আত্মীয়দেরকে হাসপাতালের ভেতরে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকলে ঢুকতে দিচ্ছেন না ।
তাই এখন অস্থায়ীভাবে হাসপাতালের মূল প্রবেশদ্বারের পাশেই রোগীদের বসার জন্য চেয়ার পাতা হয়েছে । আর সেখানেই দেখা গেল সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা কেউ মেনে চলছেন না । রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা পাশাপাশি বসে আছেন । গল্পগুজবও চলছে, আড্ডা জমে উঠেছে বলাই যায় । এই ছবি দেখে মনে হচ্ছে সামাজিক দূরত্বের কথা কাদের জন্য ?
এর আগে হাসপাতালে ভরতি থাকা রোগীদের আত্মীয়রা এবং আউটডোরে দেখাতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা হাসপাতালে নিচের তলার লাউঞ্জে বসে থাকতেন । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এখন হাসপাতালে ভিতরে আর বসার জায়গা রাখা হয়নি । চেয়ারগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ও মূল প্রবেশদ্বারের মাঝের জায়গায় । কিন্তু এখানেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল । কারণ এই লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে অপর ব্যক্তিকে সংস্পর্শে আসতে না দেওয়া । আর হাসপাতালে যারা মূলত যাচ্ছেন তাঁরা অধিকাংশই অসুস্থ । তাই কার মধ্যে কী রোগ লুকিয়ে আছে তা না জেনেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে । না এই দৃশ্য অত্যন্ত ভয়াবহ । যদিও এই বিষয়টিকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা রোগীদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি ।