দুর্গাপুর, 13 জানুয়ারি: বীরভূমে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে শুক্রবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (TMC MP Satabdi Roy) ৷ দলীয় কর্মীর বাড়ি গিয়ে সেখানে খেতে বসেও খাওয়ার মুখে না তুলে শুধু ছবি তুলেই তিনি উঠে পড়েন বলে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ এই বিষয়টি নিয়ে চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদও ৷ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি'র নেতা-নেত্রীরা (BJP leaders react on Satabdi Roy) ৷
জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল সাংসদরা, তাই এরকম ব্যবহার করছেন বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার । এদিন বিকেলে দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে তিনি এই কথা বলেন ৷ পাশাপাশি তাঁর আরও কটাক্ষ,"সুরক্ষা কাদের দেবেন সংসদরা? যারা চুরি করেছে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে, যারা বোমা, পিস্তল,গ্রেনেড রেখেছে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে ।"
শতাব্দী রায়ের ভোজন বিতর্ক ও 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ তাঁর কটাক্ষ, "বাংলার মানুষের সুরক্ষা কবচ দরকার নেই । দিদির সুরক্ষা কবচ লাগবে, ভাইপোর সুরক্ষা কবচ লাগবে ।" একদিকে অর্জুন সিং, একদিকে শতাব্দী রায়, একদিকে দেবাংশু, অন্যদিকে সায়ন্তিকা,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,দিকে দিকে দিদির দূতেদের কাছে উত্তর চাইছে বাংলার মানুষ বলে দাবি এই বিজেপি বিধায়কের ৷ 12 বছর ধরে চুরি করে এখন দিদি দূতদের পাঠাচ্ছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন অগ্নিমিত্রা ৷
আরও পড়ুন: কর্মীর বাড়িতে ছবি তুললেও খাবার স্পর্শ করলেন না 'দিদির দূত' শতাব্দী ! অভিযোগ অস্বীকার সাংসদের
উল্লেখ্য, শুক্রবার 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার অন্তর্গত তেঁতুলিয়া গ্রামে যান শতাব্দী রায় ৷ অভিযোগ, সেখানে এক দলীয় কর্মীর বাড়ি তাঁর মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা থাকলেও, কেবল ছবি তুলেই না খেয়ে উঠে পরেন শতাব্দী ৷ যদিও এই ঘটনার সত্যতা মানতে চাননি তৃণমূল সাংসদ ৷ তাঁর দাবি, তিনি ওই কর্মীর বাড়ির ভিতরে গিয়ে খেয়েছিলেন ৷ পরে ছবি তোলার অনুরোধ আসায় তিনি সেখানে গিয়ে বসে ছবি তোলেন ৷