আসানসোল, 14 সেপ্টেম্বর: কয়লা পাচার কাণ্ডে (West Bengal Coal Smuggling Case)15 জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোল সিবিআই আদালত (Arrest Warrants Issue the Name of 15 People) ৷ এই 15 জনের মধ্যে বেশ কিছু ফ্যাক্টরির মালিক, ব্যবসায়ী ও বেআইনী কয়লা কারবারী রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর।
2020 সালের নভেম্বর মাসে বেআইনি কয়লা কাণ্ড নিয়ে প্রথম এফআইআর করেছিল সিবিআই (CBI)। তারপর আরও কয়েকজনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে । জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন আরও কয়েকজন । বেশ কয়েক জায়গায় অভিযানও চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচ নিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার এড়িয়ে আছেন বেআইনি কয়লা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। সিবিআই তাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি।
অন্যদিকে, লালার এজেন্ট হিসেবে যারা কাজ করত বলে অভিযোগ সেই বিনয় মিশ্র, রত্নেশ ভার্মা-সহ অনেকেই পলাতক ৷ তাদের এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিনয়ের ভাই বিকাশ এই মামলাতেই জেলে । ইতিমধ্যেই ইসিএলের 8 জন প্রাক্তন ও বর্তমান আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারাও বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লালা রক্ষাকবচ পেলেও কেন ফের জেল হেফাজতে ইসিএল কর্তারা, প্রশ্ন আইনজীবীদের
এছাড়াও কয়লা মাফিয়া অভিযুক্ত হিসেবে জয়দেব মণ্ডল, নীরদ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গুরুপদ মাজি বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছে বাকিরা জামিনে মুক্ত রয়েছে। এদের প্রত্যেকের নামেই ফের সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে । 19 জুলাই আসানসোল সিবিআই আদালতে মোট 41 জনের নামে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই।
এই চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিকাশ মিশ্র, 8 জন ইসিএল অফিসার যারা জেল হেফাজতে রয়েছে, 2 জন পলাতক বিনয় মিশ্র ও রত্নেশ ভার্মা, কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দ, নীরদ মণ্ডল ও গুরুপদ মাঝি, 10 জন বিভিন্ন কোম্পানির ডিরেক্টর এবং 15 জন কয়লা কারবারে যুক্ত ব্যক্তি। সেই চার্জশিটের পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল সিবিআই আদালত 15 জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল। পাশাপাশি জানা গিয়ছে ইসিএলের আরও বেশ কিছু আধিকারিক সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে । তাদেরকেও দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কয়লাপাচার-কাণ্ডে বিধায়ক শওকতের ছায়াসঙ্গী সাদেককে তলব সিবিআই-এর