দুর্গাপুর, 13 মে: বীরভানপুর শ্মশানে তোলাবাজির খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিভিন্ন মহলে ৷ নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই গতকালই পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভেন্দু বসু, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজী, এসিপি অক্ষসত গর্গ-সহ ডিএমসি আধিকারিকরা বসে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন । বৃহস্পতিবার এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে দুর্গাপুর নগর নিগম ৷ পাশাপাশি এদিন বীরভানপুর শ্মশান পরিদর্শনে আসে বিজেপির প্রতিনিধিদল ৷ গোটা বিষয়টির জন্য তারা দায়ী করে দুর্গাপুর পৌরনিগমকেই ৷ শ্মশানে তোলাবাজির এই ইস্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷
বুধবারই করোনা মৃতদেহ সৎকার নিয়ে তোলাবাজির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে মহকুমাশাসক । এরপর বৃহস্পতিবারও দেখা গেল শ্মশানে এই অমানবিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আ্যম্বুলেন্সের চালকদের অনৈতিক অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া, অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে দুর্গাপুর নগর নিগম জরুরি বৈঠক করল ৷ দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়-সহ কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান এবং পৌরনিগমের সরকারি আধিকারিকরা যখন জরুরি বৈঠক করছেন তখন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বিজেপির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিয়ে যান বীরভানপুরে শ্মশানে ।
কোভিডে যখন জর্জরিত শিল্পশহর, তখন একশ্রেণির আ্যম্বুলেন্সের চালক, ডোম, অক্সিজেন সরবরাহকারীরা তোলাবাজি, কালোবাজারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । তা যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য দুর্গাপুর নগর নিগমের ও মহকুমাশাসকের দফতর থেকে চালু হয়েছে হেল্পলাইন । লিফলেটে দুর্গাপুর পৌরনিগমের ওয়ার্ড ভিত্তিক মেডিক্যাল অফিসারদের নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে । তবে বিজেপি বিধায়ক নাম না করে কার্যত তোপ দাগলেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র ও শ্মশানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদে বিরুদ্ধে । যে বেনিয়ম দেখা দিচ্ছে কোভিড পরিস্থিতিতে তা অবিলম্বে বন্ধ না হলে বড় অসহায় হয়ে পড়ছেন কোভিডের কারণে মৃতদের পরিবারবর্গ । এখন এই শ্মশানে তোলাবাজি ইস্যুতে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়ে গেল ।
দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার জানান, যাঁরা এই সময় ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সাধারণ মানুষকে আরও বিপদে ফেলবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তাই এই কালোবাজারি চলবে না ।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের আকাল, সমস্যায় কোভিড রোগীরা