আসানসোল, 1 এপ্রিল : বাড়ির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ । মৃতার নাম সুন্দরা বাউরি (44) । সুন্দরার পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বামী অনিল বাউরিকে উদ্ধার করা হয় । অনিলের বয়স 50 বছর ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের ঘটনা । দু‘জনেরই মাথায় গভীর আঘাত ছিল। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা ধন্দে। যদিও পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন অনিল বাউরি ।
হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দা অনিল বাউরি ও সুন্দরা বাউরি । রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন অনিল, সুন্দরা গৃহবধূ । তাঁদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে । মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে । অনিল ও সুন্দরার ছেলে অভিজিৎ জানায়, আজ সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিল সে । বাড়ি ফিরে এসে দেখে, ঘরের দরজা খোলা । ভিতরে ঢুকে দেখে বাবা-মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । মা ততক্ষণে মারা গিয়েছেন । বাবা বেঁচে ছিলেন । অভিজিৎই স্থানীয় এবং আত্মীয়দের খবর দেয় । তড়িঘড়ি অনিলবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কী করে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছে না, বলে অভিজিৎ ।
আরও পড়ুন : স্ত্রীকে মারধর করে আত্মঘাতী ব্যক্তি
বাড়ির যেখানে দু‘জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার ঠিক পাশে রক্তমাখা একটি ছেনি ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ । পুলিশের অনুমান, এইগুলি দিয়ে সুন্দরাকে খুন করে নিজের মাথায় আঘাত করেছিল অনিল । একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে কী করে এই কাজ সম্ভব তা নিয়ে পুলিশ ধন্দে । সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিৎসককে দেওয়া অনিলের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে খুন করার পরে একই ভাবে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে অনিল । স্ত্রী সুন্দরার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ । কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে হীরাপুর থানার পুলিশ ।