ETV Bharat / state

যারা যাওয়ার তারা যাক, শূন্য থেকে শুরু করব : রাজীব

সংগঠনকে ফের নতুন করে সাজানোর জন্য আজ চাকদা, হরিণঘাটা এবং কল্যাণীর তিন বিধানসভা এলাকার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন নদিয়ার নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তিনি ।

author img

By

Published : Jun 8, 2019, 8:13 PM IST

Updated : Jun 8, 2019, 9:26 PM IST

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

চাকদা, 8 জুন : "ক্ষমতালোভী, সুবিধাবাদী কর্মীরা দল ছেড়ে যেতে পারে । প্রয়োজনে দল আবার শূন্য থেকে শুরু করবে ।" আজ নদিয়ার ঋত্বিক সদনে দলীয় কর্মীদের এই বার্তা দিলেন নদিয়ার নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সংগঠনকে ফের নতুন করে সাজানোর জন্য আজ চাকদা, হরিণঘাটা এবং কল্যাণীর তিন বিধানসভা এলাকার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজীববাবু । সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তিনি । ফের 15 জুন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান ।

ভিডিয়োয় শুনুন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

আজ বৈঠকের পর রাজীববাবু বলেন, "তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে মজবুত করার জন্য আমি দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছি । নেত্রীর নির্দেশ, বুথ স্তর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে । আমাদের একটাই পরিবার । যার নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সংগঠনকে আবার ঠিক মতো সাজাব । যাতে বিরোধীদের এখানে দূরবীন দিয়ে দেখতে হয় ।"

ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকে কর্মী BJP-তে যোগ দিয়েছেন । এপ্রসঙ্গে রাজীববাবু বলেন, "যারা দল থেকে এতদিন সুবিধা নিয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ার আশায় অন্য দলে যাচ্ছে তারা যেতে পারে । প্রয়োজনে আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের 1 থেকে 100 তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছেন । আমরা সংগঠনকে সাজিয়ে ফের কর্মীদের তৈরি করে নেব ।"

নব নির্বাচিত সাংসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "দলকে বেশি সময় দিতে হবে । মানুষ, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে । মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে ।"

চাকদা, 8 জুন : "ক্ষমতালোভী, সুবিধাবাদী কর্মীরা দল ছেড়ে যেতে পারে । প্রয়োজনে দল আবার শূন্য থেকে শুরু করবে ।" আজ নদিয়ার ঋত্বিক সদনে দলীয় কর্মীদের এই বার্তা দিলেন নদিয়ার নবনিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সংগঠনকে ফের নতুন করে সাজানোর জন্য আজ চাকদা, হরিণঘাটা এবং কল্যাণীর তিন বিধানসভা এলাকার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজীববাবু । সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তিনি । ফের 15 জুন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান ।

ভিডিয়োয় শুনুন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

আজ বৈঠকের পর রাজীববাবু বলেন, "তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে মজবুত করার জন্য আমি দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছি । নেত্রীর নির্দেশ, বুথ স্তর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে । আমাদের একটাই পরিবার । যার নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সংগঠনকে আবার ঠিক মতো সাজাব । যাতে বিরোধীদের এখানে দূরবীন দিয়ে দেখতে হয় ।"

ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকে কর্মী BJP-তে যোগ দিয়েছেন । এপ্রসঙ্গে রাজীববাবু বলেন, "যারা দল থেকে এতদিন সুবিধা নিয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ার আশায় অন্য দলে যাচ্ছে তারা যেতে পারে । প্রয়োজনে আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের 1 থেকে 100 তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছেন । আমরা সংগঠনকে সাজিয়ে ফের কর্মীদের তৈরি করে নেব ।"

নব নির্বাচিত সাংসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "দলকে বেশি সময় দিতে হবে । মানুষ, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে । মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে ।"

Intro:তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি তো তীব্র ভাষায় এই সমস্ত দাঙ্গাকারী এবং যারা এই উস্কানিমূলক গুণ্ডাগিরি, বাহুবলির কাজ করছে, গণতন্ত্রে তাদের কোন স্থান নেই। আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখাবার যে প্রবণতা দেখা দিচ্ছে, ক্ষমতা দখল করার লক্ষ্যে মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে, প্রশাসনের রক্ত ঝরাচ্ছে, তাদের বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। তাঁরা সবটাই দেখছে। এবং ইচ্ছে করে, প্ররোচনা দিয়ে, তারা দিনের পর দিন, তাদের নেতারা রাজ্যে ঘুরে ঘুরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য যেভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে, যেভাবে নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে আইন ভাঙছেন, তাতে আর যাই হোক, তারা যে গণতান্ত্রিক দেশের একজন নাগরিক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের দেখে তা বোঝা যাচ্ছে না। যে প্রশাসনের কর্মী এবং যাঁরা আহত হচ্ছেন, রক্তপাত ঘটাচ্ছেন যাঁরা, তাদের কথাও তো চিন্তা করুন।"



Body:
দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দিলীপবাবুকে বলছি, দিলীপবাবু এরকম করবেন না। অনেক করেছেন, অনেক কিছু করেছেন, রাজ্য গঠনের কথা বলুন। নিয়ম ভাঙার গান গেয়ে মানুষের রক্ত ঝরাবেন না।" বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জয় লাভ করেছেন, তাঁরা তো বিজয় মিছিল করবেন। প্রশাসন কেন বাধা দিচ্ছে? সেই অভিযোগের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যেহেতু বারণ আছে তাই। যখন বারণ থাকে তখন তো আমরা করি না। আমরা তো জিতেছি এগারো সালে, আমরা তো বিজয় উৎসব করিনি। আমরা তো 2016 সালে জিতেছি, আমরা তো বিজয় উৎসব করিনি। আমরা তো এবারেও ভোটের নিরিখে এবং আসনের নিরিখে আমরা জয়ী। আমরা তো করিনি। আসলে এরা চাইছে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করাতে এবং মানুষের রক্ত ঝরাতে। অথচ, বাংলার উন্নয়ণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। এ একটা ধিক্কার জানানো উচিত। এরা বিজয় মিছিল করছে? না রক্ত ঝরানোর মিছিল করছে? সেটা দিলীপবাবুরা ভালো করে চিন্তা করুক। এইরকম গুণ্ডাগিরি করে কেউ কখনো ছাড় পায়নি। গণতন্ত্রের তলানিতে তাঁরা চলে গিয়েছিল। এরাও বুঝতে পারছে না, মানুষই এদের বিচার করবে।"

দার্জিলিংয়ে বেশ কয়েকজন আজ দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই বিষয়ে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কে কোথায় যোগদান করছে সে আর আমি বলব কী করে। এ ব‍্যাপারে কোনও মন্তব্য করা যায়?"




Conclusion:
Last Updated : Jun 8, 2019, 9:26 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.