ETV Bharat / state

সংকটে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প, সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি শিল্পীদের - রিয়্যালিস্টিক হিউম্যান ফিগার

মৃৎশিল্পীদের একাংশের দাবি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প ৷ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কৃষ্ণনগর ঘরানার সঙ্গে পরিচয় করানো প্রয়োজন ৷ আর তার জন্য দরকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৷ তাঁদের দাবি, সরকারি উদ্যোগে কৃষ্ণনগরে তৈরি হোক আর্ট কলেজ ৷

to save Krishnanagar Clay arts artists are demanding art college
কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল
author img

By

Published : Dec 30, 2019, 10:14 PM IST

Updated : Jan 3, 2020, 12:00 AM IST

কৃষ্ণনগর, 30 ডিসেম্বর : কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ৷ জগৎ বিখ্যাত ৷ শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন এখানকার মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি অনবদ্য সৃষ্টি দেখতে ও কিনতে ৷ এখানকার বিশেষত্ব হল রিয়্যালিস্টিক হিউম্যান ফিগার ৷ কিন্তু বর্তমানে মৃৎশিল্পীদের একাংশের আশঙ্কা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প ৷ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কৃষ্ণনগর ঘরানার সঙ্গে পরিচয় করানো প্রয়োজন ৷ আর তারজন্যই দরকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৷ দাবি, সরকারি উদ্যোগে কৃষ্ণনগরে তৈরি হোক আর্ট কলেজ ৷

রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী তড়িৎ পাল বলেন, "আমরা চাই কৃষ্ণনগরে একটা আর্ট কলেজ হোক ৷ এখানে একটা আর্ট কলেজ হলে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে ৷ " রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত আরও এক মৃৎশিল্পী সুবীর পাল বলেন, " দীর্ঘদিন ধরেই আমরা একটা দাবি করে আসছি যে, কৃষ্ণনগরে মৃৎশিল্প শেখার কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই ৷ তাই অবশ্যই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়া দরকার ৷ যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা শিখতে পারে ৷ "

কিন্তু কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র 100 কিলোমিটার ৷ কলকাতায় আর্ট কলেজ রয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি তুলছেন শিল্পীরা ৷ কিন্তু কেন ? উত্তরে সুবীরবাবু জানান, "কৃষ্ণনগরের নিজস্ব ঘরানা আছে ৷ বিশেষত্ব হল রিয়ালিস্টিক হিউম্যান ফিগার ৷ তাই এখানে যদি আর্ট কলেজ হয় , এবং যদি এখানকার শিল্পীদের দিয়েই শেখানো হয় তাহলে সেটা ভালো হবে ৷ নইলে এই শিল্পকে বাঁচানো যাবে না ৷ "

নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কৃষ্ণনগর ঘরানার সঙ্গে পরিচয় করাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি মৃৎশিল্পীদের

এই শিল্পকে বাঁচাতে এর আগেও বহুবার মৃৎশিল্পীদের তরফে সরকারের কাছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি জানানো হয়েছিল ৷ পাঁচবছর আগে সরকারি উদ্যোগে ঘূর্ণিতে একটি সংগ্রহশালাও তৈরি হয়েছিল ৷ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ কিন্তু উদ্বোধন হলেও এখনও চালু হয়নি সেটি ৷

মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা শাসক তেনজি নি ভার্মা ভুটিয়া বলেন, "এই মুহূর্তে এরকম কোনও প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি ৷ তবে নিশ্চয়ই এটা একটা ভালো প্রস্তাব ৷ ঘূর্ণির যারা মৃৎশিল্পীরা রয়েছেন আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি ৷ ওখানে ইতিমধ্যেই 'মৃত্তিকা', একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছি ৷ সেটাকেও আমরা এই কাজে লাগাতে পারি ৷ এ রকম প্রস্তাব এলে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারি ৷ "

কৃষ্ণনগর, 30 ডিসেম্বর : কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ৷ জগৎ বিখ্যাত ৷ শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন এখানকার মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি অনবদ্য সৃষ্টি দেখতে ও কিনতে ৷ এখানকার বিশেষত্ব হল রিয়্যালিস্টিক হিউম্যান ফিগার ৷ কিন্তু বর্তমানে মৃৎশিল্পীদের একাংশের আশঙ্কা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প ৷ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কৃষ্ণনগর ঘরানার সঙ্গে পরিচয় করানো প্রয়োজন ৷ আর তারজন্যই দরকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৷ দাবি, সরকারি উদ্যোগে কৃষ্ণনগরে তৈরি হোক আর্ট কলেজ ৷

রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী তড়িৎ পাল বলেন, "আমরা চাই কৃষ্ণনগরে একটা আর্ট কলেজ হোক ৷ এখানে একটা আর্ট কলেজ হলে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে ৷ " রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত আরও এক মৃৎশিল্পী সুবীর পাল বলেন, " দীর্ঘদিন ধরেই আমরা একটা দাবি করে আসছি যে, কৃষ্ণনগরে মৃৎশিল্প শেখার কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই ৷ তাই অবশ্যই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়া দরকার ৷ যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা শিখতে পারে ৷ "

কিন্তু কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র 100 কিলোমিটার ৷ কলকাতায় আর্ট কলেজ রয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি তুলছেন শিল্পীরা ৷ কিন্তু কেন ? উত্তরে সুবীরবাবু জানান, "কৃষ্ণনগরের নিজস্ব ঘরানা আছে ৷ বিশেষত্ব হল রিয়ালিস্টিক হিউম্যান ফিগার ৷ তাই এখানে যদি আর্ট কলেজ হয় , এবং যদি এখানকার শিল্পীদের দিয়েই শেখানো হয় তাহলে সেটা ভালো হবে ৷ নইলে এই শিল্পকে বাঁচানো যাবে না ৷ "

নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কৃষ্ণনগর ঘরানার সঙ্গে পরিচয় করাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি মৃৎশিল্পীদের

এই শিল্পকে বাঁচাতে এর আগেও বহুবার মৃৎশিল্পীদের তরফে সরকারের কাছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি জানানো হয়েছিল ৷ পাঁচবছর আগে সরকারি উদ্যোগে ঘূর্ণিতে একটি সংগ্রহশালাও তৈরি হয়েছিল ৷ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ কিন্তু উদ্বোধন হলেও এখনও চালু হয়নি সেটি ৷

মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দাবি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা শাসক তেনজি নি ভার্মা ভুটিয়া বলেন, "এই মুহূর্তে এরকম কোনও প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি ৷ তবে নিশ্চয়ই এটা একটা ভালো প্রস্তাব ৷ ঘূর্ণির যারা মৃৎশিল্পীরা রয়েছেন আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি ৷ ওখানে ইতিমধ্যেই 'মৃত্তিকা', একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছি ৷ সেটাকেও আমরা এই কাজে লাগাতে পারি ৷ এ রকম প্রস্তাব এলে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারি ৷ "

Intro:নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি মৃৎ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি শিল্পীরা রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। মৃৎশিল্পীদের তৈরি মাটির পুতুল রাজ্য পেরিয়ে সারাদেশে স্থান পেয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণনগরে নেই কোন আর্ট কলেজ কিংবা প্রশিক্ষণ শিবির। বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রাপ্ত ঘূর্ণির মৃৎশিল্পীদের আশংকা যদি ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে কোনো আর্ট স্কুল কিংবা প্রশিক্ষণ শালা না খোলা হয় তাহলে অচিরেই হারিয়ে যেতে পারে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যপূর্ণ মৃৎশিল্প। মৃৎশিল্পীরা চাইছেন অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বুকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি আর্ট কলেজ খোলা হোক। যেখানে কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি মৃৎশিল্পীরা প্রশিক্ষণ দেবে। এর পাশাপাশি মৃৎশিল্পীদের দাবি, কৃষ্ণনগরে কোন সংগ্রহশালায় না থাকার কারণে অতীতের বিখ্যাত শিল্পীদের কোন নিদর্শন মানুষ দেখতে পারেনা। মৃত্তিকা নামে একটি সংগ্রহশালা যদিও খোলার চেষ্টা করেছিল প্রশাসন। কোটি টাকা খরচ করেও পরিকল্পনার অভাবে সেটিকে বাস্তবায়িত করা যায়নি। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকেও একটি আর্ট স্কুল কিংবা প্রশিক্ষণ শিবির খোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রশাসনের দাবি সরকারের সঙ্গে পরবর্তীকালে একটি আর্ট কলেজের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করা হবে যত দ্রুত সম্ভব মৃৎশিল্পীদের জন্য।


Body:KRISHNAGAR RAJBARI


Conclusion:
Last Updated : Jan 3, 2020, 12:00 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.