ETV Bharat / state

রোজ়া ভেঙে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত নাবালিকাকে রক্ত দিলেন যুবক - blood donate

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত নাবালিকাকে রোজ়া ভেঙে রক্ত দিলেন যুবক ।

রক্ত দিচ্ছেন ওসমান
author img

By

Published : Jun 1, 2019, 6:13 PM IST

Updated : Jun 1, 2019, 7:53 PM IST

কৃষ্ণনগর, 1 জুন : রমজান মাসের আর পাঁচটা দিনের মতো আজও রোজ়া রেখেছিলেন ওসমান । কিন্তু, একজন শিশুর প্রাণ বাঁচাতে রোজ়া ভাঙলেন তিনি । নিজের রক্তদান করলেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক নাবালিকাকে । রক্ত দেওয়ার পর হাসিমুখে বললেন, "রোজ়া ভেঙেছি একজনের প্রাণ বাঁচাতে । আমার রক্তে যদি কারও জীবন রক্ষা পায় তাহলে তো ভালোই । ওকে রক্ত দিতে পেরেছি । ও এখন ভালো আছে, আমি এতেই খুশি ।"

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ওই নাবালিকার বাড়ি ঘূর্ণীর পানিনালায় । এখন সে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ডাক্তাররা বলেছেন, রক্ত লাগবে । নাহলে প্রাণ সংশয় হতে পারে । একথা শোনার পর থেকে আর বসে থাকেননি নাবালিকার মা । রক্ত খুঁজছেন তিনি । অনেকের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন । বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়েছেন । সেখানেও রক্ত পাননি । কেউ কেউ রক্তদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আসেনি । এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি । ঠিক সেসময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ওসমান । ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রতিবেশীদের কাছে রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন । প্রতিবেশীদের মাধ্যমেই ওসমানের সাথে যোগাযোগ হয় । ওসমান রক্ত দিতে রাজি হয় ।

nadia
রাখি দাস
ওসমানের বাড়ি পলাশিপাড়া । কদিন পরই ইদ । সেজন্য আজ বাজারে কেনাকাটা করতে গেছিলেন ওসমান । কেনাকাটা করতে গিয়েই একজনের মুখে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত নাবালিকার কথা জানতে পারেন । ওসমান বলেন, "রক্তের প্রয়োজন রয়েছে একজনের । একথা জানার পরই রোজ়া ভাঙার সিদ্ধান্ত নিই । তখনই হাসপাতালে গিয়ে নাবালিকাকে রক্ত দিই ।"
দেখুন ভিডিয়ো

স্বাভাবিকভাবেই ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞ নাবালিকার মা । তিনি বলেন, "ডোনার না পেয়ে খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম । এখন স্বস্তি । ওসমানকে যে কী বলে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না ।" তবে ওসমান নির্লিপ্ত । নাবালিকাকে রক্ত দেওয়ার বিষয়টিকে খুব বড় করে দেখতে নারাজ তিনি । রক্ত দিয়ে শুধু বললেন, "রক্তের জন্য যেন কারও প্রাণ না যায় সেটা প্লিজ় দেখবেন । আমি যেভাবে একজনের পাশে দাঁড়ালাম আপনারাও অন্যকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করুন । তাহলেই হবে ।"

কৃষ্ণনগর, 1 জুন : রমজান মাসের আর পাঁচটা দিনের মতো আজও রোজ়া রেখেছিলেন ওসমান । কিন্তু, একজন শিশুর প্রাণ বাঁচাতে রোজ়া ভাঙলেন তিনি । নিজের রক্তদান করলেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক নাবালিকাকে । রক্ত দেওয়ার পর হাসিমুখে বললেন, "রোজ়া ভেঙেছি একজনের প্রাণ বাঁচাতে । আমার রক্তে যদি কারও জীবন রক্ষা পায় তাহলে তো ভালোই । ওকে রক্ত দিতে পেরেছি । ও এখন ভালো আছে, আমি এতেই খুশি ।"

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ওই নাবালিকার বাড়ি ঘূর্ণীর পানিনালায় । এখন সে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ডাক্তাররা বলেছেন, রক্ত লাগবে । নাহলে প্রাণ সংশয় হতে পারে । একথা শোনার পর থেকে আর বসে থাকেননি নাবালিকার মা । রক্ত খুঁজছেন তিনি । অনেকের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন । বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়েছেন । সেখানেও রক্ত পাননি । কেউ কেউ রক্তদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আসেনি । এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি । ঠিক সেসময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ওসমান । ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রতিবেশীদের কাছে রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন । প্রতিবেশীদের মাধ্যমেই ওসমানের সাথে যোগাযোগ হয় । ওসমান রক্ত দিতে রাজি হয় ।

nadia
রাখি দাস
ওসমানের বাড়ি পলাশিপাড়া । কদিন পরই ইদ । সেজন্য আজ বাজারে কেনাকাটা করতে গেছিলেন ওসমান । কেনাকাটা করতে গিয়েই একজনের মুখে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত নাবালিকার কথা জানতে পারেন । ওসমান বলেন, "রক্তের প্রয়োজন রয়েছে একজনের । একথা জানার পরই রোজ়া ভাঙার সিদ্ধান্ত নিই । তখনই হাসপাতালে গিয়ে নাবালিকাকে রক্ত দিই ।"
দেখুন ভিডিয়ো

স্বাভাবিকভাবেই ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞ নাবালিকার মা । তিনি বলেন, "ডোনার না পেয়ে খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম । এখন স্বস্তি । ওসমানকে যে কী বলে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না ।" তবে ওসমান নির্লিপ্ত । নাবালিকাকে রক্ত দেওয়ার বিষয়টিকে খুব বড় করে দেখতে নারাজ তিনি । রক্ত দিয়ে শুধু বললেন, "রক্তের জন্য যেন কারও প্রাণ না যায় সেটা প্লিজ় দেখবেন । আমি যেভাবে একজনের পাশে দাঁড়ালাম আপনারাও অন্যকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করুন । তাহলেই হবে ।"

Intro:ধর্মের নামে রাজনীতির বাতাবরণ যখন গোটা দেশে,তখন ধর্ম নয়,মনুষত্বই যে সবার উপরে তার প্রমান মিললো নদীয়ার কৃষ্ণনগরে।শনিবার পরিবারের সাথে ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে এসে রোজা ভেঙ্গে এক থ্যালাসেমিয়া হিন্দু রোগীকে রক্ত দিয়ে মানবিকতার নজির গড়লেন ওসমান গনি শেখ নামের এক যুবক।
সূত্রের খবর,নদীয়ার পলাসিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর 10 এর রাখি দাস থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত।বর্তমানে সে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অভিযোগ,গত কয়েকদিন যাবৎ মেয়ে রাখি দাসের জন্য হন্যে হয়ে রক্ত খুঁজছিলেন মা তাপসী দাস।কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ব্লাড ব্যাংক থেকে তাপসী দেবীকে রক্তের ডোনার নিয়ে আসার কথা বলা হয়।অসহায় তাপসী দেবী এর পর তার এক প্রতিবেশীকে ডোনারের কথা জানানোর পর তিনি ওসমান গনি শেখের সাথে যোগাযোগ করে দেন।আর এর পরই শনিবার রোজা ভেঙ্গে ছোট্ট রাখী দাসের জন্য রক্ত দিতে কৃষ্ণনগর শক্তি নগর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দেন ওসমান গনি শেখ।এবং অবশেষে মেয়ের জন্য রক্ত পান তাপসী দেবী।রক্ত দেওয়ার পর ওসমান গনি শেখ জানান,তার রক্তে যদি কেউ প্রাণে বাঁচে সেটাই আসল।পাশাপাশি তিনি জানান,রক্ত দেওয়ার জন্য তাদের একটি হোয়াটস আপ গ্রূপও আছে।তাদের একটাই উদেশ্য রক্তের জন্য যেন কারও প্রাণ না যায়।রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি সবার কাছে তার আবেদন,আজ যার জন্য তিনি রক্ত দিলেন,তেমন সেও যেন মানুষের প্রয়োজনে কোনোদিন রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন।Body:KRISHNAGAR BLOODConclusion:
Last Updated : Jun 1, 2019, 7:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.