হাঁসখালি, 11 এপ্রিল : সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিবরণ দেন তিনি । পুলিশ সুপার বলেন, "গত 5 এপ্রিল তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য ছেলে মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীর বাড়িতে জন্মদিন অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই 14 বছর বয়সি কিশোরী। এরপরে সন্ধ্যার পর সে বাড়ি ফিরে আসে। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে শেষ রাতে গ্রামের একটি ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে ফেরার পর পরিবারের লোক দেখে নাবালিকার মৃত্যু ঘটেছে। নাবালিকার মৃত্যুর পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য অর্থাৎ দেহ দাহ করার পর পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয় (superintendent of police says on Hanskhali Rape case) ৷
পুলিশ সুপার আরও বলেন, "পরিবারের সদস্যরা গোপন জবানবন্দিতে বলেছে ওই নাবালিকাকে এলাকার কয়েকজন যুবক তড়িঘড়ি শ্মশানে দাহ করেছে।" এ বিষয়ে তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম পরিবারের তরফ থেকে আমাদের কাছে এসেছে ৷ আমরা তদন্ত করে দেখছি কী কারণে কোনওরকম ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই তড়িঘড়ি নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হল।"
আরও পড়ুন : Mamata on Rape Cases : ধর্ষণকাণ্ডে 4 জেলার পুলিশ সুপারকে তলব মমতার
তিনি আরও জানান, 24 ঘণ্টার মধ্যেই ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন রানাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ওই অভিযুক্তকে ৷ আদালত তাকে 14 দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে । আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে ৷ কে বা কারা তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৷
উল্লেখ্য়, ইতিমধ্যেই রাজ্যে পরপর দু'দিনে চারটি ধর্ষণকাণ্ডে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তড়িঘড়ি চার জেলার পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷