শান্তিপুর, 6 জানুয়ারি: সামান্য কথা কাটাকাটি ৷ আর তার জেরেই এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷ যদিও এই বিষয়ে মৃতার পরিবারের সদস্যরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানা (Santipur Police Station) এলাকায় ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয় ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই প্রাণ গিয়েছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ৷
এবারই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল 15 বছরের তানিয়া দেবনাথের (Madhyamik Student Lost Life) ৷ কিন্তু, তার আগেই সব শেষ ! শান্তিপুরের চাঁদরা এলাকায় বসত ভিটে রয়েছে তানিয়াদের ৷ বাড়িতে তার বাবা, মা রয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য এলাকারই একটি দোকানে গিয়েছিলেন তানিয়ার মা ৷ ফিরে এসে দেখেন, তাঁর কিশোরী মেয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে ! সেই সময় তানিয়ার বাবা বাড়িতে ছিলেন না ৷ মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ৷ তাঁরা প্রথমেই থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ এসে তানিয়াকে নীচে নামায় ৷ তারপর তাকে পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে ৷ কিন্তু, চিকিৎসকরা তানিয়াকে পরীক্ষা করেন জানান, হাসপাতালে পৌঁছনোর অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর ৷
আরও পড়ুন: দুই মেধাবী যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এমন ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকার বাসিন্দারা ৷ মণীন্দ্র দেবনাথ নামে একটি স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "আমাদের দেখে মনে হয়েছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে ৷ তবে কেন যে এমনটা করল, সেটা স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে ৷ আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি ৷ পুলিশ দেখছে ৷"
সূত্রের দাবি, পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মহত্য়া করেছে ৷ তবে, তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় ৷ যদিও স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল তানিয়ার ৷ কিন্তু, বচসার কারণ জানা যায়নি ৷ তাছাড়া, সামান্য বচসার কারণে কেউ একেবারে আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতিই বা বেছে নেবে কেন ? আপাতত এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে শান্তিপুর থানার পুলিশ ৷