বহরমপুর, 11 জুন: শনিবার ডোমকলে মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লাকে ৷ তাঁকে রবিবার তোলা হয় পুলিশ আদালতে ৷ সেখানে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি পুলিশ ৷ এই মামলায় সাধারণত পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় ৷ এক্ষেত্রে বশির মোল্লাকে হেফাজতের আবেদন না-জানানোয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
ধৃত বশির মোল্লার বিরুদ্ধে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মামলা রুজু হয়েছে ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এই মামলা রুজু হওয়ার পরও শাসকদলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে হেফাজতে চায়নি । বিরোধীদের এক সুরে দাবি, পুলিশ হেফাজতে নিলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে যেত । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদলকে রক্ষাকবচ দিতেই পুলিশ আইনের ভূমিকা পালন করেনি ।
সাধারণত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কেউ গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট মামলা রুজু করেই পুলিশ আদালতে পেশ করে ৷ আদালতে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে । ধৃতের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে এল, সেই অস্ত্র কেন কাছে রাখা হত, তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ । পাশাপাশি পুলিশ ধৃতকে হেফাজতে নিয়েই আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারীদের নাগাল পেতে চায় । কিন্তু ডোমকল ব্লকের সারাংপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বশির মোল্লার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম না-মানায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দল। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, "সর্বসমক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল তাই পুলিশ বশির মোল্লাকে আড়াল করতে পারেনি ।" সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, "পুলিশ যা চাইছে তা হবে না । মানুষ সব জেনে গিয়েছে ।"
আরও পড়ুন: ডোমকলে তৃণমূল নেতার কোমর থেকে উদ্ধার পিস্তল, টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ সুকান্তর
প্রসঙ্গত, শনিবার ডোমকল বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে । সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি । এর মাঝেই বশির মোল্লাকে আটক করে পুলিশ । তল্লাশি চালিয়ে মেলে একটি লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র । রবিবার বশিরকে বহরমপুর আদালতে তোলা হয় । পুলিশ হেফাজতের আবেদন না-জানানোয় বিচারক তাঁর 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।