বহরমপুর, 20 জুন : মাত্র দু'বছর তিন মাস বয়সেই প্রথম খ্যাতির পালক জুড়ল অঙ্কিত দাসের মুকুটে (Named in India Book of Records at the age of two years)। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে খুদে অঙ্কিত এখন এলাকার 'গুগুল বয়' নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে । মা, দাদু, ঠাকুমার একমাসের কসরত আর ছোট্ট অঙ্কিতের স্মরণশক্তি এখন অন্যতম চর্চিত বিষয় ইসলামপুর থানার হরহরিয়া মাঠপাড়ায় । চারটে ইংরেজি-সহ 53টি ছড়া, 15টি ফলের নাম, 15টি শাকবব্জির নাম ও 30টি পশুপাখির নাম অঙ্কিতের ঠোঁটের ডগায় । 'দুধের শিশুর' এই পারদর্শীতা জীবনের শুরুতেই কার্যত খ্যাতির চুড়ায় তুলে দিয়েছে ।
বাবা কাজল দাস পুলিশ বিভাগে কর্মরত । বর্তমানে মালদহে রয়েছেন । এক বা দেড়মাস অন্তর বাড়ি আসেন । মা রিয়া দাস গৃহবধূ । বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি আর সংসার সামলে নিজের ছেলেকে তালিম দেন । ছেলের অভাবনীয় স্মৃতিশক্তির আঁচ শুরুতেই পেয়েছিলেন রিয়াদেবী ।
তিনি জানান, ছড়ার বই থেকে একটা ছড়া একবার বললেই ছেলে মনে রাখতে পারে । ছেলের জন্মগত এই স্মৃতি শক্তিকে কাজে লাগায়। দু'বছর দুমাস বয়সের আধো গলায় রবীন্দ্রনাথের বাইশ লাইনের 'হাট' কবিতা আত্মস্ত করে ফেলে অঙ্কিত । রিয়াদেবী আরও জানান, 'হাট' কবিতা দিয়েই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন । পরে কর্তৃপক্ষের দাবি মতো ছড়া, ফল, শাকসবজি, পশুপাখির নাম শিখিয়ে ছেলেকে উপযুক্ত করে তোলেন তিনি । যদিও ছেলের কৃতিত্বের পিছনে দাদু-ঠাকুমার অবদানও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ।
আরও পড়ুন : India Book of Records : ক্ষুদ্রতম কার্ড বানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম খড়গ্রামের ছাত্রের
2022 সালের 18 এপ্রিল (তখন অঙ্কিত দু'বছর দু'মাসের) ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন পাঠান রিয়া দাস । 2 মে ফোনে জানানো হয় অঙ্কিত দাস ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের জন্য মনোনিত হয়েছে । জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাড়িতে এসে পৌঁছয় সাফল্যের স্বীকৃতি । মেডেল, সংশাপত্র ও নানাবিধ উপহারের প্যাকেট পেয়ে আপ্লুত রিয়া দাস । ছোট্ট অঙ্কিতের ভারত জয়ের সাফল্যের খবর নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ।