কলকাতা, 26 এপ্রিল: এবারে বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট হল এক কথায় শান্তিপূর্ণ ৷ আসনের তালিকায় ছিল অধীররঞ্জন চৌধুরীর গড়েরও কিছু আসন ৷ সেখানে সোমবারের এই নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- মালদা এবং মুর্শিদাবাদে অশান্তি না হওয়া ৷ বলা চলে, সপ্তম দফায় সেটাই মানুষকে উপহার দিল অধীরের গড় ৷
রাজ্যে গত নির্বাচনগুলির কার্যত প্রত্যেকটিতেই বোমাবাজি হয়েছে এই মালদা-মুর্শিদাবাদে ৷ সময় এমনও গিয়েছে যে একটি নির্বাচনে এক দিনে 16 জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ৷ সেই ট্র্যাক রেকর্ড থাকা অধীর গড়ের চরিত্র কি তবে বদলে যাচেছ? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে ৷
ইতিহাস বলছে, মুর্শিদাবাদে রক্ত না ঝরে ভোট হয়নি ৷ বোমাবাজি ছিল জলভাত ৷ অধীরের দল কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী থেকেছে সিপিএম ৷ দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, বোমাবাজি, মারামারি ছিল নিত্যদিনের ৷
সেই ইতিহাস চাপা পড়েছে বর্তমানে ৷ চলতি নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার শরিক বাম-কংগ্রেস ৷ বিগত কয়েকটি নির্বাচন ধরেই জোটসঙ্গী হয়েছে একে অপরের ৷ জোট করার পরও বিচিছন্ন ঘটনা হিসাবে নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে অশান্তি তৈরি হয়েছে ৷ আগাগোড়াই শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়েছেন মুর্শিদাবাদবাসী তথা রাজ্যবাসী ৷ সেই প্রার্থনাই সত্যি করে এই নির্বাচন সত্যিই আলাদা হয়ে দাঁড়ালো ৷ আগাগোড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল অধীর গড়ে ৷
নিজের কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন অধীর ৷ ভোটের প্রচার অবশ্য পুরোদমে চালিয়েছেন ৷ করোনা পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানিয়ে কংগ্রেসের তরফে পঞ্চম দফার পরই জনসভা না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অধীর ৷ তারপর তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হন ৷ তার জেরেই নিজের গড়ে ভোটের গোটা দিনটি কাটাতে হল ঘর বন্দি হয়েই ৷ জেলার ভোটকেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন হল শান্তিপূর্ণ ৷ এবং দিনের শেষে সেটাই তো প্রার্থিত তাই না...
আরও পড়ুন: কেমন কাটল জামুড়িয়ার ভোট ? আলোচনায় ঐশী