ETV Bharat / state

মালদায় করোনা টিকা বয়কট স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের

40 বছর ধরে করে দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়ায় নিজেদের টিকাকরণ না করানোর সিদ্ধান্ত মালদার মহিলা স্বাস্থ্য় সহকারী ও সুপারভাইজারদের৷ তবে অন্য়দের টিকা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা৷ প্রতিবাদে সামিল প্রায় 500 জন৷

author img

By

Published : Jan 29, 2021, 7:46 PM IST

wb_mld_03_corona_vaccination_chaos_7203520
মালদায় কোরোনা টিকা বয়কট স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের

মালদা, ২৯ জানুয়ারি: ৪০ বছর ধরে একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদা জেলার মহিলা স্বাস্থ্য সহকারী ও সুপারভাইজাররা৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে দপ্তর কিংবা সরকার কোনও চিন্তাভাবনা করেনি বলে অভিযোগ৷ তারই প্রতিবাদে নিজেরা করোনার টিকা নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ তবে টিকাকরণের কাজে তাঁরা নিজেদের সরিয়ে রাখেননি৷ নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন৷ এ নিয়ে শুক্রবার পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন এই কর্মীরা৷

জয়েন্ট ফোরাম অনুমোদিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট (ফিমেল) অ্য়ান্ড সুপারভাইজার (ফিমেল)’-এর জেলা সম্পাদক অসীমা পাল জানান, “দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমরা নিজেদের পে স্কেল পরিবর্তন, নার্সিং ক্যাডার গ্রেডেশন, প্রমোশন ও কেরিয়ার পাথের দাবিতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারকে আবেদন করে আসছি৷ কিন্তু আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না৷ অথচ আমরা কাজে কোনও ঢিলেমি দিই না৷ করোনা আবহে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী মারা গিয়েছেন৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কেউ করোনার টিকা নেব না৷ তবে মানুষের টিকাকরণে আমরা যেভাবে কাজ করছি, করে যাব৷”

মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত এমনই এক স্বাস্থ্যকর্মী মানসী হালদার বলেন, “দপ্তরের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমরা করোনা টিকা বয়কট করেছি৷ এখানে ২৫ জন সহকারী ও ছ’জন সুপারভাইজারের কেউ টিকা নিইনি৷ আমাদের দাবি পূরণ হলে তবেই আমরা এই টিকা নেব৷ তবে টিকাকরণের কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি৷”

জানা যাচ্ছে, মালদা জেলায় প্রায় ৫৫০ জন এমন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন৷ তার মধ্যে এই সংগঠনের আওতায় থাকা প্রায় ৫০০ জন কর্মী নিজেদের টিকা নেওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন৷ তবে পুরাতন মালদা শহর ও গ্রামীণ এলাকার আশাকর্মী থেকে শুরু করে পৌরসভার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও করোনার টিকা নিচ্ছেন৷

আরও পড়ুন: 2 ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক পার্শ্বশিক্ষকদের

পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের নোডাল অফিসার সাধনচন্দ্র দাস বলেন, “এই পৌর এলাকা থেকে ৪২ জনের নাম করোনা টিকাকরণের জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে প্রথম দুই দফায় ২৭ জন টিকা পেয়েছেন৷ আজ আমি ও একজন মেডিকেল অফিসার-সহ মোট ১০ জন এই টিকা পেয়েছি৷ আগামিকাল আরও পাঁচজন টিকা পাবেন৷ এই হাসপাতালে করোনা টিকাকরণ সঠিকভাবেই চলছে৷”

মালদা, ২৯ জানুয়ারি: ৪০ বছর ধরে একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদা জেলার মহিলা স্বাস্থ্য সহকারী ও সুপারভাইজাররা৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে দপ্তর কিংবা সরকার কোনও চিন্তাভাবনা করেনি বলে অভিযোগ৷ তারই প্রতিবাদে নিজেরা করোনার টিকা নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ তবে টিকাকরণের কাজে তাঁরা নিজেদের সরিয়ে রাখেননি৷ নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন৷ এ নিয়ে শুক্রবার পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন এই কর্মীরা৷

জয়েন্ট ফোরাম অনুমোদিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট (ফিমেল) অ্য়ান্ড সুপারভাইজার (ফিমেল)’-এর জেলা সম্পাদক অসীমা পাল জানান, “দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমরা নিজেদের পে স্কেল পরিবর্তন, নার্সিং ক্যাডার গ্রেডেশন, প্রমোশন ও কেরিয়ার পাথের দাবিতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারকে আবেদন করে আসছি৷ কিন্তু আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না৷ অথচ আমরা কাজে কোনও ঢিলেমি দিই না৷ করোনা আবহে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী মারা গিয়েছেন৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কেউ করোনার টিকা নেব না৷ তবে মানুষের টিকাকরণে আমরা যেভাবে কাজ করছি, করে যাব৷”

মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত এমনই এক স্বাস্থ্যকর্মী মানসী হালদার বলেন, “দপ্তরের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমরা করোনা টিকা বয়কট করেছি৷ এখানে ২৫ জন সহকারী ও ছ’জন সুপারভাইজারের কেউ টিকা নিইনি৷ আমাদের দাবি পূরণ হলে তবেই আমরা এই টিকা নেব৷ তবে টিকাকরণের কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি৷”

জানা যাচ্ছে, মালদা জেলায় প্রায় ৫৫০ জন এমন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন৷ তার মধ্যে এই সংগঠনের আওতায় থাকা প্রায় ৫০০ জন কর্মী নিজেদের টিকা নেওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন৷ তবে পুরাতন মালদা শহর ও গ্রামীণ এলাকার আশাকর্মী থেকে শুরু করে পৌরসভার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও করোনার টিকা নিচ্ছেন৷

আরও পড়ুন: 2 ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক পার্শ্বশিক্ষকদের

পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের নোডাল অফিসার সাধনচন্দ্র দাস বলেন, “এই পৌর এলাকা থেকে ৪২ জনের নাম করোনা টিকাকরণের জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে প্রথম দুই দফায় ২৭ জন টিকা পেয়েছেন৷ আজ আমি ও একজন মেডিকেল অফিসার-সহ মোট ১০ জন এই টিকা পেয়েছি৷ আগামিকাল আরও পাঁচজন টিকা পাবেন৷ এই হাসপাতালে করোনা টিকাকরণ সঠিকভাবেই চলছে৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.