মালদা, 30 অক্টোবর: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ঘটনায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়া । মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ মৃত যুবকের নাম সাহিল শেখ (20)। তিনি মালদার মীরচক এলাকার বাসিন্দা ।
পরিবারের দাবি, রবিবার দুপুরে মোটরবাইকে করে দুই বন্ধুকে নিয়ে সাহিল কাজিগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের নূনবহী এলাকায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় মোটরবাইক দুর্ঘটনায় 'সামান্য আহত' হন তিনি। দুই বন্ধু তাঁকে মালদা মেডিক্যাল ভরতি করেন। পরিবারের লোকেদেরও খবর দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ, ঘণ্টা দুয়েক ধরে সাহিলের কোনও চিকিৎসা হয়নি।
পরিবারের সদস্যদের আরও দাবি, সন্ধ্যার সময় সাহিল তাঁদের লোকের সঙ্গে কথাও বলেন। এরপর রাত পৌনে আটটা নাগাদ সাহিলকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, এরপরেই সাহিলের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়েই পরিবারের বাকি সদস্যদের মালদা মেডিক্য়ালে উপস্থিত হন। আসেন পরিচিতরাও। এরপরই হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসে ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আইসি-সহ ডেপুটি পুলিশ সুপার। মৃতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
আরও পড়ুন : মালদায় পণ্যবাহী লরির ধাক্কায় মৃত্যু মোটরবাইক চালক ও আরোহীর
ঘটনা প্রসঙ্গেই সাহিলের মাসি বলেন, "দুর্ঘটনার পর ওকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করা হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে ওর কোনও চিকিৎসা হয়নি । ক্রমাগত ঘেমে যাচ্ছিল। রাত পৌনে আটটা নাগাদ সাহিলকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরেই মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে সাহিলের ।"