মালদা, 7 ডিসেম্বর : সরকারি দফতরে বসে একহাতে পিস্তল ধরে নিজস্বী তুলছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতেই প্রবল চাঞ্চল্য মালদা জেলা রাজনীতিতে (TMC leader selfie with Pistol went viral on social media)। জেলা সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদা জেলায় থাকাকালীনই এমন ঘটনায় শাসকদলের কতটা মুখ পুড়ল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। এটাই তৃণমূলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখবে। তবে নেত্রীর হাতে থাকা পিস্তল আসল বলেই মেনে নিয়েছেন তিনি। পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি কেবল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীই নন, জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীও বটে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের ডান হাতে পিস্তল ধরে রয়েছেন আর বাম হাতে দিয়ে সেলফি তুলছেন। আশেপাশে থাকা তৃতীয় কোনও ব্যক্তি সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয় বলে খবর। তবে ইটিভি ভারত এই ছবির ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেনি।
ঘটনায় শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, "এটা স্বাভাবিক। তৃণমূলের কাছে এর থেকে বেশি আশা করা যায় না। 11 বছর ধরে রাজ্যে এই সংস্কৃতিই চালাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাকেও বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তারা। মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। সরকারি অফিসে তাঁর হাতে 9মিলিমিটার পিস্তল। খুঁজলে বোমা, একে47 পর্যন্ত পাওয়া যাতে পারে। পুলিশ সব জানে। মমতাদিও এই ছবি দেখেছেন। কিন্তু কেউ ওই নেত্রীকে কিছু বলবে না। পুলিশ প্রশাসন যে তাদেরই হাতে। জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী হয়তো তাঁর সংগঠনের সদস্যদের হাতেও এভাবে পিস্তল তুলে দেবেন। আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।"
আরও পড়ুন : Malda TMC : মালদায় বাড়ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অপসারিত আরও এক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী
এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, "সরকারি অফিসে বসে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করা ঠিক নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি আসল না নকল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। আমার দেখে মনে হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি আসল। আমার বাড়িতে অনেক বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তাই আমার এই ধারণা। এই ঘটনায় মানুষের কাছে তাঁর যেমন ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, দলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।" যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃণালিনীদেবীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।