ETV Bharat / state

কোরোনা নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য, মন্তব্য BJP সাংসদের

author img

By

Published : Apr 14, 2020, 10:48 PM IST

দলের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল ৷

tmc is doing politics amid corona outbreak, said khagen murmu in malda
কোরোনা নিয়ে রাজ্যসরকার রাজনীতি করছে, বললেন BJP সাংসদ খগেন মুর্মু

মালদা, 14 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য ৷ আজ দলের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল ৷ তখনই খগেন মুর্মু এ মন্তব্য করেন ৷

একজন মারা গিয়েছেন ৷ কোনও পরীক্ষা না করেই তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ মেডিকেলের একজন চিকিৎসক সেন্ট্রাল IB-র এক পদস্থ কর্তাকে জানিয়েছেন, কোরোনা নিয়ে কাউকে কিছু বলা বারণ রয়েছে ৷ এমনকি রেশন সামগ্রী নিয়েও এখানে লুটের রাজনীতি হচ্ছে ৷ আমরা এই বিপদের মুহূর্তে কোনও রাজনীতি চাই না ৷ সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কোরোনা রুখতে লড়াই করতে চাই ৷ "

আজ দুপুরে BJP - র মালদা জেলা সদর দপ্তর শ্যামাপ্রসাদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা আক্রান্ত মানুষ সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না ৷ এখানে রাজনীতি করা হচ্ছে ৷ মালদা জেলায় কোরোনা পরীক্ষার যন্ত্র ও কিট থাকা সত্ত্বেও এখানে কোনও সন্দেহজনক রোগীর লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ নমুনা কলকাতায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট জানানো হচ্ছে ৷ দু’দিন আগে এখানে গঙ্গারামপুরের এক শ্রমিককে প্রবল জ্বর ও সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি করা হয়েছিল ৷ তাঁর মধ্যে কোরোনার সমস্ত উপসর্গগুলি ছিল ৷ তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ঘরে ফিরেছিলেন ৷ কিন্তু তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে ভরতি করা হয় ৷ তিনি মারা যান ৷ মৃত্যুর পর তাঁর লালারস পরীক্ষা না করেই মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ দেহ মালদাতেই সৎকার করা হয় ৷ এতে ওই ব্যক্তির পরিবার, সৎকারে থাকা লোকজনও কোরোনায় আক্রান্ত হল ৷ মালদাসহ গোটা রাজ্যে এখন রেশনের মাধ্যমে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সামগ্রীগুলিও লুট করা হচ্ছে ৷ মাননীয়ার ছবি খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে ৷ ত্রাণ বিলির সময় বলা হচ্ছে, সেটা তৃণমূলের ৷ সমস্ত ক্ষেত্রে এ রাজ্যে রাজনীতি চলছে ৷ "

তিনি আরও বলেন , " এখানে কোরোনায় কতজন মারা গেলেন বা আক্রান্ত হলেন, তা প্রকাশ করা হচ্ছে না ৷ সবকিছু গোপন রাখা হচ্ছে ৷ আসলে সবটাই রাজনীতি ৷ এখানে সবাই ডিজিটাল রেশন কার্ড পায়নি ৷ আমরা বলেছি, ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন ৷ প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই আইন ইতিমধ্যে লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে ৷ অর্থাৎ একজন নাগরিক একটি রেশন কার্ড দেখিয়েই দেশের যে কোনও প্রান্তে রেশন পাবেন ৷ এখানে তৃণমূল না করলে রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে না ৷ রাষ্ট্রীয় খাদ্য বিমা যোজনা 2 - এর অধীনে অনেক মানুষ আছে, যারা রেশন পাওয়ার যোগ্য ৷ কিন্তু এখানে রেশন কার্ডই দেওয়া হচ্ছে না ৷ ত্রাণের সামগ্রী রেশন ডিলারদের কাছে যাওয়ার কথা৷ সেখান থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি হওয়ার কথা ৷ কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, গরিব মানুষকে 5 কিলো চাল ও 1 কিলো করে ডাল দিতে হবে ৷ সেটাও এখানে দেওয়া হচ্ছে না ৷ সেটা কোথায় যাচ্ছে? এখানে এরা মানুষকে বঞ্চিত করে রাখতে চায় ৷ আমি বলব, এখন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সব রাজনৈতিক দল মিলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ লক্ষাধিক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছে ৷ তারা খেতে পাচ্ছে না ৷ গত 25 দিন ধরে আমি তাদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মহলে জানাচ্ছি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, এই পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে খাদ্য পায় তার ব্যবস্থা করা ৷ তাই এখন কোনও রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে ৷ "

মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা দুই ব্যক্তির কথোপকথন শুনিয়ে খগেনবাবু দাবি করেন, " গাজিয়াবাদ থেকে ফিরে আসা গঙ্গারামপুরের শ্রমিকের মৃত্যুর পর গতকাল সেন্ট্রাল IB-র এক কর্তা মালদা মেডিকেলের এক চিকিৎসককে ফোন করে কোরোনা পরিস্থিতির খবর নেন ৷ তিনি এই মেডিকেলে ভরতি থাকা কোরোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃতদের বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে জানতে চান ৷ কিন্তু ওই চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দেন, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য কাউকে জানাতে স্বাস্থ্যভবন থেকে তাঁদের বারণ করা হয়েছে ৷ একমাত্র স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিলেই তাঁরা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন ৷ এই ঘটনায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে রাজ্য সরকার কোরোনার তথ্য চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ এটা ঠিক নয় ৷ সঠিক তথ্য প্রকাশ করলে মানুষ বেশি সতর্ক হতে পারবে ৷ "

যদিও BJP সাংসদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ৷ তিনি বলেন, " তৃণমূল মানুষের জীবন নিয়ে কখনও রাজনীতি করে না ৷ ওটা BJP- র কালচার ৷ এই দুঃসময়েও রাজ্য সরকারের বকেয়া টাকা এখনও তারা মেটাচ্ছে না ৷ আর এই মুহূর্তে BJP শাসিত রাজ্যগুলির থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোরোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো ৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সামনে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন, তারই সুফল পাচ্ছে রাজ্যবাসী ৷ সেটাই গেরুয়া শিবিরের সহ্য হচ্ছে না ৷ কোরোনা নিয়ে তারাই রাজনীতি করছে, তৃণমূল নয় ৷ "

মালদা, 14 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য ৷ আজ দলের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল ৷ তখনই খগেন মুর্মু এ মন্তব্য করেন ৷

একজন মারা গিয়েছেন ৷ কোনও পরীক্ষা না করেই তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ মেডিকেলের একজন চিকিৎসক সেন্ট্রাল IB-র এক পদস্থ কর্তাকে জানিয়েছেন, কোরোনা নিয়ে কাউকে কিছু বলা বারণ রয়েছে ৷ এমনকি রেশন সামগ্রী নিয়েও এখানে লুটের রাজনীতি হচ্ছে ৷ আমরা এই বিপদের মুহূর্তে কোনও রাজনীতি চাই না ৷ সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কোরোনা রুখতে লড়াই করতে চাই ৷ "

আজ দুপুরে BJP - র মালদা জেলা সদর দপ্তর শ্যামাপ্রসাদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা আক্রান্ত মানুষ সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না ৷ এখানে রাজনীতি করা হচ্ছে ৷ মালদা জেলায় কোরোনা পরীক্ষার যন্ত্র ও কিট থাকা সত্ত্বেও এখানে কোনও সন্দেহজনক রোগীর লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ নমুনা কলকাতায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট জানানো হচ্ছে ৷ দু’দিন আগে এখানে গঙ্গারামপুরের এক শ্রমিককে প্রবল জ্বর ও সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি করা হয়েছিল ৷ তাঁর মধ্যে কোরোনার সমস্ত উপসর্গগুলি ছিল ৷ তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ঘরে ফিরেছিলেন ৷ কিন্তু তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে ভরতি করা হয় ৷ তিনি মারা যান ৷ মৃত্যুর পর তাঁর লালারস পরীক্ষা না করেই মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ দেহ মালদাতেই সৎকার করা হয় ৷ এতে ওই ব্যক্তির পরিবার, সৎকারে থাকা লোকজনও কোরোনায় আক্রান্ত হল ৷ মালদাসহ গোটা রাজ্যে এখন রেশনের মাধ্যমে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সামগ্রীগুলিও লুট করা হচ্ছে ৷ মাননীয়ার ছবি খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে ৷ ত্রাণ বিলির সময় বলা হচ্ছে, সেটা তৃণমূলের ৷ সমস্ত ক্ষেত্রে এ রাজ্যে রাজনীতি চলছে ৷ "

তিনি আরও বলেন , " এখানে কোরোনায় কতজন মারা গেলেন বা আক্রান্ত হলেন, তা প্রকাশ করা হচ্ছে না ৷ সবকিছু গোপন রাখা হচ্ছে ৷ আসলে সবটাই রাজনীতি ৷ এখানে সবাই ডিজিটাল রেশন কার্ড পায়নি ৷ আমরা বলেছি, ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন ৷ প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই আইন ইতিমধ্যে লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে ৷ অর্থাৎ একজন নাগরিক একটি রেশন কার্ড দেখিয়েই দেশের যে কোনও প্রান্তে রেশন পাবেন ৷ এখানে তৃণমূল না করলে রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে না ৷ রাষ্ট্রীয় খাদ্য বিমা যোজনা 2 - এর অধীনে অনেক মানুষ আছে, যারা রেশন পাওয়ার যোগ্য ৷ কিন্তু এখানে রেশন কার্ডই দেওয়া হচ্ছে না ৷ ত্রাণের সামগ্রী রেশন ডিলারদের কাছে যাওয়ার কথা৷ সেখান থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি হওয়ার কথা ৷ কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, গরিব মানুষকে 5 কিলো চাল ও 1 কিলো করে ডাল দিতে হবে ৷ সেটাও এখানে দেওয়া হচ্ছে না ৷ সেটা কোথায় যাচ্ছে? এখানে এরা মানুষকে বঞ্চিত করে রাখতে চায় ৷ আমি বলব, এখন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সব রাজনৈতিক দল মিলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ লক্ষাধিক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছে ৷ তারা খেতে পাচ্ছে না ৷ গত 25 দিন ধরে আমি তাদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মহলে জানাচ্ছি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, এই পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে খাদ্য পায় তার ব্যবস্থা করা ৷ তাই এখন কোনও রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে ৷ "

মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা দুই ব্যক্তির কথোপকথন শুনিয়ে খগেনবাবু দাবি করেন, " গাজিয়াবাদ থেকে ফিরে আসা গঙ্গারামপুরের শ্রমিকের মৃত্যুর পর গতকাল সেন্ট্রাল IB-র এক কর্তা মালদা মেডিকেলের এক চিকিৎসককে ফোন করে কোরোনা পরিস্থিতির খবর নেন ৷ তিনি এই মেডিকেলে ভরতি থাকা কোরোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃতদের বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে জানতে চান ৷ কিন্তু ওই চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দেন, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য কাউকে জানাতে স্বাস্থ্যভবন থেকে তাঁদের বারণ করা হয়েছে ৷ একমাত্র স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিলেই তাঁরা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন ৷ এই ঘটনায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে রাজ্য সরকার কোরোনার তথ্য চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ এটা ঠিক নয় ৷ সঠিক তথ্য প্রকাশ করলে মানুষ বেশি সতর্ক হতে পারবে ৷ "

যদিও BJP সাংসদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ৷ তিনি বলেন, " তৃণমূল মানুষের জীবন নিয়ে কখনও রাজনীতি করে না ৷ ওটা BJP- র কালচার ৷ এই দুঃসময়েও রাজ্য সরকারের বকেয়া টাকা এখনও তারা মেটাচ্ছে না ৷ আর এই মুহূর্তে BJP শাসিত রাজ্যগুলির থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোরোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো ৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সামনে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন, তারই সুফল পাচ্ছে রাজ্যবাসী ৷ সেটাই গেরুয়া শিবিরের সহ্য হচ্ছে না ৷ কোরোনা নিয়ে তারাই রাজনীতি করছে, তৃণমূল নয় ৷ "

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.