মালদা, 17 জুলাই : এ যেন ‘বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা’ ! খোদ পুলিশ কর্মীর সরকারি কোয়ার্টার থেকেই চুরি গেল নগদ 1 লাখ 20 হাজার টাকা ৷ খোয়া গেল 10 থেকে 12 ভরি সোনার গয়নাও ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজা থানা এলাকার পুলিশ আবাসনে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৷ তবে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ ৷ গোটা ঘটনায় পুলিশ আবাসনের নিরাপত্তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্কে চুরি করতে ব্যর্থ, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক নিয়ে গেল ডাকাতরা
যে পুলিশ কর্মীর কোয়ার্টারে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে তাঁর নাম রামকিঙ্কর মণ্ডল ৷ তিনি এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী ৷ বর্তমানে হোমগার্ড বিভাগে কর্মরত ৷ পুলিশ লাইন সংলগ্ন সরকারি পুলিশ আবাসনে সপরিবার থাকেন রামকিঙ্কর ৷ গত 15 জুলাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মোথাবাড়ি থানা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামে দিতে যান তিনি ৷ সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও তাঁদের তিন মেয়ে ৷ শনিবারই সেখান থেকে ফেরেন তাঁরা ৷ কোয়ার্টারের তালা খুলতেই বুঝতে পারেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে কোনও একটা অঘটন ঘটে গিয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে রামকিঙ্কর বলেন, ‘‘বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে কোয়ার্টারের সদর দরজার তিনটি তালা খুলে ভিতরে ঢুকি ৷ তখনই চোখে পড়ে, একটি ঘরের একদিকের দরজা খোলা ৷ অথচ ওই দরজায় তালা দিয়েই বিয়েবাড়ি গিয়েছিলাম ৷ এরপরই চোখ পড়ে ডাইনিং হলের জানালায় ৷ দেখি সেটির গ্রিল কেটে ফেলা হয়েছে ৷ দুষ্কৃতীরা আলমারি আর লকারও ভেঙেছে ৷ সেখানে রাখা 1 লাখ 20 হাজার টাকা নগদ আর 10-12 ভরি সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে ৷’’
রামকিঙ্করের অনুমান, সম্প্রতি যে শ্রমিকরা পুলিশ আবাসন সংস্কারের কাজ করছিলেন, তাঁদেরই কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, আবাসনের প্রধান গেটে নিরাপত্তারক্ষা থাকলেও প্রত্য়েক কোয়ার্টারে আলাদা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই ৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত আবাসনের বাকি বাসিন্দারাও ৷ নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : প্রাক্তন রেলকর্মীর তৈরি অভিনব ডিভাইসে বন্ধ হবে চুরি, ধরা পড়বে চোরও
এদিকে, চুরির খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতকুমার সাউ ৷ নিজেই ঘটনার তদন্ত করেন তিনি ৷ পাশাপাশি, ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷