মালদা, 1 সেপ্টেম্বর: নাবালিকার যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সৎ বাবাকে 20 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত ৷ পকসোর 6 নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷ তবে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালিকার মাকে আদালত মুক্তি দিয়েছে ৷ 20 বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি 10 হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও 2 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এডিজে দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2020 সালের 10 জানুয়ারি মালদায় 13 বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে সৎ বাবার বিরুদ্ধে ৷ পরেরদিন ওই নাবালিকা সমস্ত ঘটনা এক প্রতিবেশীকে জানায় ৷ ওই প্রতিবেশী সেদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিতা নাবালিকার মা এবং সৎ বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে পরীক্ষা এবং গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় ৷ পরে আদালতের নির্দেশে নির্যাতিতাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হেফাজতে রাখা হয় ৷
সাড়ে 3 বছরের বেশি সময় তদন্ত ও শুনানি শেষ হয় ৷ মোট 14 জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে নির্যাতিতা নাবালিকার মাকে বিচারক নির্দোষ ঘোষণা করেন ৷ তবে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৎ বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷
আরও পড়ুন: ধর্ষণে বাধা পেয়েই নাবালিকাকে খুন, মাটিগাড়ার ঘটনায় জেরায় স্বীকার মূল অভিযুক্তের
এই মামলার আইনজীবী অসিত বর্মন বসু জানান, নির্যাতিতা নাবালিকার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ৷ তাঁর সেই স্বামী বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ৷ ওই নাবালিকার প্রতিবেশী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নাবালিকার মা ও সৎ বাবাকে গ্রেফতার করেছিল ৷ ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় ৷ 14 জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে ওই নাবালিকার মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এডিজে দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা পকসো আইনের 6 নম্বর ধারায় সৎ বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে 20 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ৷’’
এর পাশাপাশি 10 হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও 2 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ দোষীর জমা দেওয়া 10 হাজার টাকার মধ্যে 5 হাজার টাকা নির্যাতিতা নাবালিকাকে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ পাশাপাশি, ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইডের তরফে নির্যাতিতাকে আরও 1 লক্ষ টাকা সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷